দীর্ঘ ২১ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (বাকসু) নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন মোটামুটি নিয়মিতই হতো। এরপর আর হয়নি বাকসু নির্বাচন। বাকসুর জন্য বরাদ্দকৃত ১৬টি কক্ষ এখন অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন না হলেও প্রতি বছরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ছাত্রসংসদ ফি। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে ছাত্রসংসদের নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই নির্বাচন আদায়ের কথা ভাবছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, বাকসু হচ্ছে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান। প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র চর্চার প্রতিষ্ঠান। বাকসু না থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একক আধিপত্য বিস্তারের প্রবণতা প্রবল হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অগণতান্ত্রিক পরিবেশ ও দখলদারিত্ব চলছে এটা রুখতে ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বাকসু নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাকসু সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেল বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার শিক্ষার্থীদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বাকসু নির্বাচনের বিকল্প নেই। আমরা চাই অনতিবিলম্বে বাকসু নির্বাচন দেয়া হোক, শিক্ষার্থীদের অধিকার শিক্ষার্থীদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হোক। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন আল্টিমেটাম ও মানববন্ধন করেছি। আমরা ২১ দফা দাবিতে নির্বাচনের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
বাকসু নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক। শিক্ষার্থীরা চাইলে অবশ্যই নির্বাচন দেয়া হবে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। শিগগিরই আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর