আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘নীল দলে’র শিক্ষকরা।
জানা গেছে, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের কমিটি গঠনের জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ধার্য করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি। ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সমর্থিত ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’ এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সমর্থিত ‘সোনালি দল’। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোটকেন্দ্রে সোনালি দলের শিক্ষকদের হেনস্তা করায় শিক্ষক সমিতি কোনো লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা। বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের পাশাপাশি এ বছর ‘নীল দল’ নামে আলাদা আরো একটি প্যানেল করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি একাংশ।
নিজেদের সত্যিকারের আওয়ামী লীগ দাবি করে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামে আওয়ামীপন্থী, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সময় বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা রূপ বদল করে আশ্রয় লাভ করেছেন। নীল দল শুধু আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি সংগঠন।
গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুত্ফুল হাসান বলেন, ‘ঠিক কী কারণে নীল দলের আবির্ভাব হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং প্রিসাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারি বলেন, ‘আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’