বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাত বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে - দৈনিকশিক্ষা

বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাত বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

নভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে। এছাড়া করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী অর্থবছরের জন্য কর ছাড়ের বিশাল বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাজেটের আকার ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়বে, তবে নাগরিকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে না দেয়ার কৌশল নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার অনুদান ও তাদের ঋণ সহযোগিতা থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার অর্থ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। বছর শেষে বিদেশি সহায়তা কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজেটে ব্যবসাবান্ধব কর্মসূচি নেয়া হবে। জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে অপারগ হলেও কোনো ব্যবসায়ীকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হবে না। কমানো হবে করপোরেট কর। সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে ভ্যাট কমানোর পদক্ষেপ থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এ ছাড় দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা বেশি। আগামী ১১ জুন বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন। করোনার ছুটিতেও অর্থমন্ত্রণালয় চালু রেখে বাজেট প্রণয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবারের বাজেটের বিশেষ দিক হচ্ছে- সব মানুষের মতামত নিয়ে একটি সময়োপযোগী অংশগ্রহণমূলক বাজেট জাতিকে উপহার দেয়া। এজন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে আগামী বাজেট নিয়ে সর্বসাধারণ তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে পারছেন। এছাড়া সবক্ষেত্রে কর ছাড় দিয়ে একটি স্বস্তিদায়ক বাজে তৈরির প্রয়াস নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা সঙ্কট উত্তরণ ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে খাতভিত্তিক প্রণোদনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

তবে এবার প্রাক-বাজেট আলোচনা না হওয়ায় আগামী বাজেটের জন্য দেশের সরকারি-বেসরকারি সব গবেষণা সংস্থা, অর্থনীতিবিদ, চিন্তাবিদ, সাবেক অর্থসচিব এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা শিক্ষকদের কাছ থেকে লিখিত পরামর্শ চেয়েছে অর্থ বিভাগ। এ বিষয়ে অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার সম্প্রতি ৫০ জনের কাছে একটি অভিন্ন চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য পরিষেবাসহ শিল্প উৎপাদন, রপ্তানি বাণিজ্য, সেবা খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, কর্মসংস্থান প্রভৃতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। শুধু সরবরাহ নয়, ভোগ ও বিনিয়োগ চাহিদাও কমতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে, বিশ্বমন্দা শুরু হয়ে গেছে। করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করে আগামী ৫ মের মধ্যে তাদের মতামত অর্থ বিভাগে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। এ মতামত আগামী বাজেট প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে বলেন, করোনাকে মাথায় রেখে আগামী বাজেটটি করা উচিত। মানুষের জীবন, জীবিকা ও পুনর্বাসনকে কেন্দ্র করেই এবারের বাজেট করা উচিত হবে। এদিকে, আগমাী বাজেট প্রণয়ন করতে গিয়ে অর্থ বিভাগের বড় চিন্তা রাজস্ব সংগ্রহ নিয়ে। চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ অনুমান করছে, জুন শেষে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব কম পাবে। এদিকে রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় বাড়বে বাজেট ঘাটতিও।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি করোনা থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধপত্র সরবরাহ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান এবং করোনা সঙ্কট উত্তরণে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সর্বোচ্চ জোর দেয়া হবে বাজেটে। খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিখাতে ভর্তুকি ও স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ ও বাজেট বরাদ্দ দেবে অর্থমন্ত্রণালয়। এদিকে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এরই মধ্যে সরকারি ব্যয় বাড়ানো, আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা ও মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও ব্যবসাবান্ধব কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন- আগামী জুন মাস পর্যন্ত কোনো গ্রাহক যদি কিস্তি পরিশোধে অপরাগও হন, তারপরও তাকে ঋণখেলাপি না করার ঘোষণা দিয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসের জন্য সব ধরনের ঋণের সুদ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এনজিওগুলোর গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে অপরাগ হলে ঋণ খেলাপি করা হবে না। এছাড়া রপ্তানি আয় আদায়ের সময়সীমা ২ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। মোবাইলে ব্যাংকিংয়ে আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প এবং কুটিরশিল্পে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আরো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিল্পকারখানা সচল রাখতে প্রণোদনার আওতায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা পাবেন ভারি ও ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোক্তারা।

করোনা ভাইরাস থমকে দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা। তবে এ সংকট কাটিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ স্বভাবিক অবস্থায় ফিরবে, এ আশা নিয়েই চলছে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যা চেয়েছিল, আসন্ন অর্থবছরে তার থেকেও বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে তারা।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, অনেক মন্ত্রণালয়েই চাহিদা অনুসারে অনেকের বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। আবার অনেককে চাহিদার বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। সেই তুলনায় আগামী অর্থবছরে মূল এডিপির আকার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এডিপি বাড়ার হার কম।

সূত্র আরো জানায়, নতুন এডিপি চূড়ান্ত করার জন্য দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা জানতে চিঠি দিয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন। সবার চাহিদার ওপর নির্ভর করে একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এনইসি সভায় এ খসড়া এডিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে একটি প্রাক-মিটিং হবে। আগামী ১২ মে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এডিপি চূড়ান্তকরণে লকডাউনের মধ্যেও কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ : চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৪ হাজার কোটি টাকা। তবে করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় নতুন বাজেটে অন্তত ২৬ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দিয়ে ১ লাখ কোটি টাকা দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ পরিমাণ অর্থসামাজিক সুরক্ষায় খরচ করে বাংলাদেশ। তবে সামাজিক সুরক্ষার জন্য গরিব মানুষের পেছনে যতটা খরচ হয়, এর চার গুণ বেশি খরচ হয় ধনীদের পেছনে। এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশের চেয়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৩৬৪ গুণ বেশি অর্থ খরচ করেছে জাপান। বাংলাদেশের মাত্র ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষার কোনো না কোনো সুবিধা পান।

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রতিবছর খরচ বাড়ালেও তা পর্যাপ্ত নয়। গত ১০ বছরে সামাজিক সুরক্ষায় সরকার খরচ বাড়িয়েছে প্রায় তিন গুণ। প্রতিবছরই সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও ভাতা বাড়ানো হয়েছে। গত অর্থবছরে ১৬ ধরনের কর্মসূচিতে ২৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া আছে। ১০ বছর আগে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা জিডিপির ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

করোনায় দাতা সংস্থার বাজেট সহায়তা: গত কয়েক বছর ধরে নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট প্রণয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হলেও এবার দাতা সংস্থার কাছে বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা চেয়েছে সরকার। বাজেটের আকার বেড়ে যাওয়ায় আয় বাড়াতে হবে সরকারকে। ইতোমধ্যে উন্নয়ন সহযোগী দাতা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও বিনিয়োগ ব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩২০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। সরকার আশা করছে, এই পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেলে আগামী অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন করতে বেশ সুবিধা হবে। কারণ করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আয় কম হতে পারে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে চলতি ও আগামী অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি আর্থিকসহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে এআইআইবির (চীনভিত্তিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ব্যাংক) কাছে বাজেটসহায়তা খাতে চলতি অর্থবছরে আরো ৫০ কোটি ডলার এবং আগামী দুই অর্থবছরে ৫০ কোটি ডলার ও করোনা মোকাবিলায় ১০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবির কাছে চাওয়া হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৭০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের কাছে চলমান সহায়তার বাইরে ৫০ কোটি ডলার এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইএসডিবি) কাছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা কামনা করেছে। চলতি অর্থবছরে করোনায় স্বাস্থ্যজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংক ১০ কোটি ডলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বাজেট সহায়তাসহ অন্যান্য খাতে ৬০ কোটি ২৩ লাখ ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ৪৫ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট ক্রেডিটের আওতায় বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রাপ্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ২৫ কোটি ডলার দ্রুত ছাড়ের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয় করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের পরিকল্পনা শীর্ষক একটি ধারণাপত্র তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি হবে। সে হিসাবে অর্থবছর শেষে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে ধারণাপত্রে অবশ্য ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশ রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043380260467529