বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে প্রতীকী অনশন পালন করছেন শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হলে আগামীকাল ৩০ জুন অনশন কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। আজ ১৪তম দিনের মতো প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা এ দৈনিক শিক্ষাকে তথ্য জানান।
গত ১৬ জুন থেকে ‘বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন অবস্থানরত শিক্ষকরা। যদিও, নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কোনো প্রস্তাব আপাতত বিবেচনা করার সুযোগ নেই বলে গত ১৮ এপ্রিল জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা জানান, সরকারি হয়নি এমন চার হাজার ১৫৯টি স্কুল রয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে প্রকৃত তথ্য না দেয়ায় এসব স্কুল সরকারি হয়নি বলে দাবি করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, সরকারিকরণের প্রক্রিয়ার সময় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম স্থগিত করায় তারা বেতন-ভাতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। তারপরেও এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন বলে দাবি করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা জানান, তাদের অনেকেরই চাকরিতে প্রবেশের বয়স অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষকের অন্যত্র চাকরির আবেদনের সুযোগ নেই। তাই, বাদপড়া ৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করে শিক্ষকদের দুরাবস্থা থেকে মুক্তি দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনর রশিদ খোকন দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ১৪ দিনের অবস্থানের প্রায় ৭৯ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা সুস্থ। দাবি আদায় করতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে দেখা করেছি।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. কামাল হোসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর ইকবালসহ প্রমুখ।