বান্দরবান জেলায় মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলতি বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ১৬টি কারণ নির্ণয় করা হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ শিক্ষার মানোন্নয়নে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। ভালো ফলাফলের জন্য ১২টি সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করার জন্য জেলা প্রশাসক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক, মাদ্রাসা সুপার ও অধ্যক্ষদের পত্র দিয়েছেন।
বান্দরবান জেলায় ৮টি সরকারি ও ৪২টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয়ের জন্য গত ২৯ মার্চ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ১৬টি কারণ জেলা প্রশাসকের নিকট উপস্থাপন করেন। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-শিক্ষকস্বল্পতা, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব, অনগ্রসর গ্রামীণ পাহাড়ি এলাকা, অভিভাবকগণের অসচেতনতা, অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্র, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণের ঘন ঘন বদলি, টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান, পাস না করা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমোশনে বাধ্য করা, শিক্ষকদের মনোযোগ সহকারে পাঠদান না করা, গণিত, ইংরেজি, আরবি, বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ ক্লাস কার্যক্রম না করা ইত্যাদি।
শিক্ষার মান উন্নয়নে ১২ দফা সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়। সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে-শিক্ষকদের পাঠ প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে আসা, শ্রেণিকক্ষে শ্রেণির পড়া আদায় নিশ্চিত করা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, গভর্নিং বডির সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মনিটরিং, শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীর মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা, প্রতিমাসে শিক্ষার্থীদের মা সমাবেশ করা, বিশেষ ক্লাস ও মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া, প্রাইভেট কোচিং বন্ধ করা, আগস্ট মাসে পুনঃমূল্যায়ন সভাসহ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা। বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুমা রানী বড়ুয়া জানান, সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে শিক্ষা বিভাগ কাজ করছে। তবে শিক্ষক সমস্যা প্রকট।