বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে শ্রেণিকক্ষে মামুনুর ইসলাম নামের এক ছাত্রকে মেরে জখম করেছে শিক্ষক ও তাঁর সহযোগীরা। পরে ওই ছাত্রকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার আদীপুর এলাকায় অবস্থিত রাজবাড়ী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্র মামুনুর ইসলাম জানায়, সে রাজবাড়ী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইলেকট্রিক ট্রেডে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গতকাল দুপুরে সে ক্লাসরুমে বসে ছিল। ওই সময় টিটিসির ইলেকট্রিক ট্রেডের শিক্ষক আব্দুর রব তাঁর সহযোগী সাব্বিরসহ কোনো কারণ ছাড়াই তাকে মারধর করেন। সেই সঙ্গে তার কপালে চেয়ার ছুড়ে মেরে জখম করেন। ওই সময় অন্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সে সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য টিটিসির অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকের সহযোগিতা চাওয়া হলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে তার সহপাঠীরা তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এনে ডান চোখের ওপরে তিনটি সেলাই দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
ওই ছাত্রের বাবা ও টিটিসির সহকারী ড্রাইভিং গেস্ট ট্রেইনার জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে শিক্ষক আব্দুর রবের বিরোধ রয়েছে। এর আগে রব আমাকে মারার জন্য সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে।’
জানা গেছে, রাজবাড়ীর টিটিসিতে অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিটিসির শিক্ষার্থীরা গত ১০ জুলাই রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগে নানা অনিয়মের তদন্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো অভিযোগটি তাঁরা পেয়েছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ওই ছাত্রকে মারধরের ঘটনার বিষয়টি জানার জন্য অধ্যক্ষের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।