নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। ওই ছাত্রী উপজেলার কাশবন বিদ্যনিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার বারহাট্টার কাশবন বিদ্যনিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার শ্রেণি রোল-১। মেধাবী ওই ছাত্রীর সাথে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের জোগাইরপাড় গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে কাঠ মিস্ত্রি মো.সোহাগ মিয়ার সাথে বিয়ে ঠিক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের সদস্যরা বিয়েটি বন্ধের চেষ্টা করে। তাদের কথায় বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়নি মেয়ের পরিবার।
মেয়ের বাড়িতে শুক্রবার বিয়ের আয়োজন চলছিল। নারী প্রগতি সংঘের লোকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদা ইয়াসমিন পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। মেয়ের পরিবারকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ে দিতে চাচ্ছিল তার পরিবার। বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মুছলেকা নেয়া হয়েছে মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবে না।