নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বালু ব্যবসায়ীদের দখলে বিরিশিরি পিসিনল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোমেশ্বরী নদীর ঘাট থেকে ট্রাকে বালু আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহার হচেছ মাঠটি। এতে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কিছু বলতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বছরখানেক আগে নিজেদের জায়গা দাবিসহ মাঠের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তখন মাঠটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সম্প্রতি মানববন্ধনও করেছে।
সম্প্রতি দেখা যায়, দুই বছর ধরে বালুবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের ৩০০ থেকে ৪০০ যানবাহন চলাচল করছে স্কুলমাঠটির ওপর দিয়ে। শুধু তাই নয়, ট্রাকপ্রতি ২৫০ টাকা চাঁদা আদায় করছে গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন (জিবিসি)।
অথচ খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০-এর ৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য খেলার মাঠ ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর করা যাবে না। এ আইন লঙ্ঘনে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, ‘খেলার মাঠ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ নিয়ে নেত্রকোনা জজ আদালতে মামলাও চলছে। তবে চাঁদাবাজি, অবৈধ যান চলাচলের বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করতে পারব না।’
স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সমরেন্দ্র রিছিল বলেন, ‘আমরা অনেকাংশে জিম্মি হয়ে গেছি। আমাদের দুর্বলতার কারণেই সুযোগ নিচ্ছে নানা মহল।’
অন্যদিকে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জিবিসি সভাপতি শৈবাল সাংমা বলেন, ‘মাঠের জায়গা জিবিসির নামে আছে। মাঠকে কেন্দ্র করে মামলাও চলছে। এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না।’