করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ থাকলেও তা না মেনেই বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ে বন্ধ করে দেন।
বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে উপজেলার দিগর ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার টিলাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়া (১৮)। ওই রাতেই বরপক্ষের লোকজন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়।
ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার রাতে দিগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়ের বাবা-মাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে মেয়েটি সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।