পাঁচজন মানুষ বসবাস করার জন্য তৈরি করা সাড়ে সাত শ’ স্কয়ার ফিটের একটা বাসায় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস করছে, এমন স্কুল-কলেজের সংখ্যা এই রাজধানী শহরে অসংখ্য। রাজধানী আইডিয়াল, ন্যাশনাল আইডিয়াল, কিংস, কুইন্স, উইসাম, উইবট এবং সাভার-গাজীপুর-টাঙ্গাইলের শাহীন ও সৃষ্টি পরিবারসহ চটকদার নামে শত শত প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ নয় যেন শাস্তির কক্ষ। হঠাৎ ভূমিকম্প কিংবা আগুনের ঘটনা ঘটলে এসব ঘিঞ্জি পরিবেশের স্কুল-কলেজ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দ্রুত বের হয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। এক মহাদুর্যোগ অপেক্ষা করছে জাতির সামনে। আমরা কি সেই দুর্যোগের জন্য অপেক্ষা করব নাকি এখনই মুক্তির উদ্যোগ নেব।
স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার আবেদন জমা দেয়ার পর শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের স্পট ভিজিটের পরই কেবল অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু ঘুষের জোরে ঘিঞ্জি পরিবেশের বাসাবাড়িতে প্রস্তাবিত স্কুল-কলেজ সম্পর্কেও ‘ভালো, পর্যাপ্ত ও প্রশস্ত শ্রেণিকক্ষের’ তকমা পাওয়া যায়। একাডেমিক স্বীকৃতি ও পাঠদানের অনুমতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানেও টাকার খেলা।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রধান কাজ পরীক্ষা নেয়া। কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সরেজমিনে পরিদর্শন ও প্রতিবেদন দেয়া এবং সেই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় তা বোধগম্য নয়। এসব কাজের জন্য কেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে কাজে লাগানো হয় না?
-তাজমহল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।