কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়র(কুবি) সংলগ্ন সালমানপুর এলাকায় মেসে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র, বই-সার্টিফিকেটসহ যাবতীয় সবকিছু বাইরে ফেলে দিয়েছেন এক বাড়িওয়ালা। শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই করোনার ছুটির মধ্যে তাদের জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে নতুন ভাড়াটিয়া তুলেছেন এ বাড়িওয়ালা। তার নাম জসিম উদ্দীন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস সংলগ্ন সালমানপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির সামনে জসিম উদ্দীনের চারতলা বিল্ডিং। যার নিচ তলা বাদে উপরের ৩ তলায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকেন। ভাড়া দেয়া মেসটি মালিক জসীম উদ্দিন নিজেই পরিচালনা করেন। এজন্য সবার কাছে জসীম হুজুরের মেস বলে পরিচিত। বাড়ির ৩য় তলার দু’কক্ষ বিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তন্ময় বিশ্বাস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১২তম ব্যাচের নিলাশ এবং ফিন্যান্স বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপু চক্রবর্তী থাকতেন। করোনার কারণে তারা বাড়িতে চলে গেছেন মার্চে। তবে এসব শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই তাদের জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে মেস মালিক জসীম উদ্দীন নতুন ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া দিয়ে দেন। এতে এক শিক্ষার্থীর ১০ হাজার টাকা এবং একটি বাইসাইকেল হারিয়ে গেছে বলে জানা যায়। অন্যরাও বাড়িতে থাকায় কি কি হারিয়েছে বলতে পারছেন না। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের সার্টিফিকেটসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও হারাতে পারে।
এদিকে এ খবর শুনে বাড়িটির অন্যান্য ফ্ল্যাটে থাকা শিক্ষার্থীরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাদের জিনিসপত্র নিয়ে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বাড়িওয়ালা কিছুই না জানিয়ে কীভাবে মেসের জিনিসপত্র ফেলে দেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তন্ময় বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু বাড়িওয়ালা আমাদের কিছু জিজ্ঞেস না করেই আমাদের মালামাল ঘর থেকে বের করে ফেলেন। আমার ড্রয়ারে রাখা ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য আমার এক বন্ধুকে পাঠাই। সে গিয়ে আমার ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও ড্রয়ারে রাখা ১০ হাজার টাকা পায়নি। এবং আমাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ঘরের বাহিরে পড়ে থাকতে দেখে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মো. কামালউদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘তন্ময় আমাকে ফোনে জানিয়েছে। একজন বাড়িওয়ালা কখনো ভাড়াটিয়ার অনুমতি ব্যতীত তার জিনিসপত্র সরাতে পারেন না। ঈদের ছুটির পর তন্ময় তার খোয়া যাওয়া জিনিসের তালিকসহ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’