শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নয়, শিক্ষার্থীদের বাড়িতে প্রশ্ন পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা নেয়া এবং ১৪ দিন পর খাতা সংগ্রহ করে মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। সোমবার (৪ এপ্রিল) উপজেলার স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার প্রধানদের সাথে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী। সভায়, শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শিক্ষকদের প্রশ্ন তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়। কোন শিক্ষকের উপর জোর করে এ কার্যক্রম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে না বলেও জানা গেছে।
সোমবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শিক্ষকদের নিয়ে ‘আমরা ঘরে বসে লিখি’শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফীর সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভুইয়া,উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রহিমা আফরোজসহ উপজেলার ২৭টি স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায়, শিক্ষকদের মতামত নিয়েই মাধ্যমিক পর্যায়ে অষ্টম, নবম ও দশম, উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সংযুক্ত রাখতে ও তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি যাচাইসহ ‘আমরা ঘরে বসে লিখি’ কার্যক্রমের প্রশ্নপত্র তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা বাড়ি বসে লেখার পরে বিদ্যালয়ে খাতার মূল্যায়ন করা হবে।
সভায় বলা হয়,করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে পাঠদান কার্য়ক্রমের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কারণে নাসিরনগরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারছে না। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বিমূখ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশুনায় সংযুক্ত রাখার লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে অষ্টম, নবম ও দশম, উচ্চ মাধ্যমিক একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের উপর সিলেবাস অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক পাচঁটি প্রশ্ন করে একটি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে। পরবর্তীতে এই প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া এবং শিক্ষার্থীরা যেন ঘরে বসে পরীক্ষা দিতে পারে বিষয়টি তাদের এবং তাদের অভিভাবকদের জানাতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রশ্নপত্রের সাথে খাতা সরবরাহ করবেন।১৪ দিন পর তাদের এই খাতা শিক্ষকরা সংগ্রহ করে তা মূল্যায়ন করবেন। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষক ও শিক্ষিকারা তদারকি করবেন।
তবে ‘আমরা ঘরে বসে লিখি’ কার্যক্রমটি কোন শিক্ষকের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে না সেচ্ছায় যেকোন শিক্ষক এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে ইউএনও জানান।