বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের বিএনপি ও জামাতপন্থী কর্মকর্তাদের উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি কলেজবিহীন উপজেলা সদরে একটি করে কলেজ জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিরোধীতাকারী বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের উদ্যোগে এ গোলটেবিলে অনুষ্ঠিত হবে।যদিও ব্যানারে লেখা থাকবে ‘বাংলাদেশে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার সংকট, সম্ভাবনা ও সামধান: প্রসঙ্গে শিক্ষা ক্যাডার।’ আয়োজক হিসেবে নাম থাকবে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির। বাস্তবে কলেজ জাতীয়করণের বিরোধীতা করে শিক্ষকদের সংগঠিত করা হবে বলে জানা গেছে। জামাত ও বিএনপিপন্থী কয়েকটি গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক সদস্য দৈনিকশিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ঢাকা ও আশেপাশের সবগুলো সরকারি কলেজের বিএনপি-জামাতাপন্থী শিক্ষকরা গোলটেবিলে উপস্থিত থাকবেন। শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতপন্থীরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
জিয়া আরেফিন আজাদসহ কয়েকজন সরকারি কলেজ শিক্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়াও শওকত নামের একজন শিক্ষকও প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে পারেন।
জানা যায়, জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণের প্রচলিত বিধি ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০০০’ বাতিলের দাবিতে মানবন্ধন, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। ২০০০ বিধি বাতিল করে নব্য জাতীয়কৃত শিক্ষকদের নন-ক্যাডার করার দাবি জানাচ্ছেন সরকারি কলেজ শিক্ষকদের একাংশ। আদালতে রিটও দায়ের করেছেন তারা। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কয়েকটি কলেজ জাতীয়করণের উদ্যোগ নিলে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতি তা বানচালের উদ্যোগ নেয়। নব্য জাতীয়কৃতদের নন ক্যাডার করার দাবি তোলেন। ক্লাস বর্জন করেন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে সব পক্ষের সমঝোতায় শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণের জন্য ২০০০ বিধি প্রণয়ন করা হয়। ফের ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ৩২৫টিকলেজ জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনার সরকার। এবারও বিরোধীতা শুরু হয়ে। তাদের বিরোধীতার কারণেই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও ২৮৩টি কলেজ জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে না।