বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের হলগুলোতে অভিযান চালিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে প্রথমে কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে অভিযান চালানো হয়। পরে কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল (মুসলিম হল) এবং জীবনানন্দ দাশ হলে (হিন্দু হল) অভিযান চালায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় অশ্বিনী কুমার হলের এ ব্লকের ৩১০ ও ৩০১ এবং বি ব্লকের ২১৫নং কক্ষ সিলগালা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
হল সুপার সহযোগী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির জানান, হলে রুম দখল করে বহিরাগতদের মাদক সেবনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় এ ব্লকের ৩১০ ও ৩০১ এবং বি ব্লকের ২১৫নং কক্ষে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এই রুমগুলোর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে ২১৫নং কক্ষ থেকে তাস উদ্ধার করা হয়। আমরা আপাতত এই রুমগুলো সিল করে দিয়েছি। কারো নামে যদি এই কক্ষগুলো এলোটমেন্ট করা থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে তাকে কলেজ অধ্যক্ষর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পর বিবেচনা করা হবে। আমরা হলে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, আমরা আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এরপরও আমরা অভিযান চালিয়েছি। হলগুলোর সকল শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, অশ্বিনী কুমার হলের ৩০১নং রুমটি কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা দখলে রেখে মাদক ব্যবসা করতো এবং ২১৫নং রুমটি জেলা ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতি দখল করে রেখে মাদকসহ জুয়ার আসর বসাতো। অপরদিকে, ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল এবং জীবনানন্দ দাশ হলেরও কয়েকটি রুম ছাত্রলীগ নেতাদের দখলে রয়েছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। তবে, এই দুই হলে গিয়ে কলেজ প্রশাসন কিছুই পায়নি বলে জানা গেছে।