চট্টগ্রাম মহানগরীতে কৌশলে পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করে ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার গণি বেকারির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার দু’জন হলেন গণি বেকারির কর্মচারী মো. মুন্না (২৮) ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান (২৯)।
এই দু’জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নাফিস বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি মহসীন জানান, সোমবার রাতে প্রাইভেটকার চালিয়ে গণি বেকারির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিস উর রহমান (২৪)। অন্ধকার স্থানে দু’জন মোটরসাইকেলে এসে কারের গতিরোধ করে। মুন্না তাকে গাড়ি থেকে নেমে আসার নির্দেশ দেয়। কিন্তু নাফিস গাড়ির ভেতরে বসে থাকলে মিজান এসে গাড়ির ভেতরে বসা অবস্থায় তার কলার চেপে ধরে তাকে চড়-থাপ্পড় দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দু’জন মিলে মারধর করে এবং কোমরে হাত দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখায়। তারা পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। নাফিস টাকা নেই জানালে তারা বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনার কথা বলে। তখন নাফিস কৌশলে কোতোয়ালি থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে ফোন করেন।
পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, হঠাৎ এক লোক ফোন করে আমাকে বলে, বিকাশে ৫ হাজার টাকা দ্রুত পাঠা। না হলে আমাকে ছাড়বে না। আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে আস্তে করে জিজ্ঞেস করি, আপনি কোথায় আছেন? তখন তিনি জানান, গণি বেকারির মোড়ে আছেন। আমরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। প্রথমে মুন্নাকে আটক করি। পালিয়ে যাওয়ার সময় মিজানকে দারুল উলুম মাদরাসার সামনে থেকে আটক করি।