বিজয় আমার শ্রেষ্ঠ অহংকার - দৈনিকশিক্ষা

বিজয় আমার শ্রেষ্ঠ অহংকার

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

একাত্তরে বয়স তখন ঠিক কত ছিল, বলতে পারি না। গাঁও-গেরামে জন্ম তারিখ লিখে রাখার রেওয়াজ কম ছিল। মা-বাবা তেমন শিক্ষিত ছিলেন না। তবু কোনো কোনো শিক্ষিত মা-বাবার চেয়ে বেশি সচেতন ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার এক দু' মাস আগে বাবা একদিন গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়ে এলেন। সে দিনটির কথা আজও মনে পড়ে। লেখাপড়ায় হাতে খড়ি হবার কারণে সেই থেকে '৭১ সালটি বুকের ভেতর সোনার হরফে লেখা একটি সন। মুক্তিযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবার কারণে সনটি এখন সব বাঙালির হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে আছে। বয়স তখন অনুমান পাঁচ কি সাত হবে। মুক্তিযুদ্ধের বহু ঘটনা এখনও মনে পড়ে। যুদ্ধকালীন এসব ঘটনা স্মৃতিপটে ভাস্বর হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করার গৌরব আমার নেই। খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য অন্তত হয়েছে। মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের এক দু' গ্লাস পানি খাইয়েছি। বিড়ি সিগারেট জ্বালাবার জন্য দেয়াশলাই দিয়েছি। বাড়ি থেকে পান সুপারি নিয়ে খেতে দিয়েছি। রাজাকার ও পাঞ্জাবিদের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা সমবয়সীরা মিলে গুলির খোসা কুড়িয়েছি। এভাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন দুরন্ত কৈশোরের দিনগুলোতে পুরো এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছি। মর্টার গ্রেনেডের শব্দে কম্পিত হয়েছি। পাঞ্জাবি ও রাজাকারদের আস্ফালন দেখে তাদের ঘৃণা করেছি। মনে মনে এদের অকল্যাণ চেয়েছি। এর চেয়ে জীবনে বড় কোনো অহংকার নেই। আমি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেয়ে বড় কোনো অর্জন কোনো জাতির নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনে জাতি আত্মত্যাগের কঠিন অগ্নি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। বাঙালি সে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুর্দান্ত এক সাহসী জাতির নাম। তুখোড়, সুশৃঙ্খল ও যুদ্ধবাজ এক বাহিনীকে মুক্তিযুদ্ধে তুলোধুনো করে বাঙালি বিশ্বের বুকে বীরের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছে। সে মর্যাদা নিয়ে বাঙালির অগ্রযাত্রা আজও অব্যাহত আছে। জাতির সে মহা অর্জনের মহানায়ক ফরিদপুরের টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিব আমাদের জাতির পিতার মহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। জাতির ইতিহাসে অবিসংবাদিত এক নাম। বাঙালি তাঁকে জাতির পিতার মর্যাদায় আসীন করে সামান্য হলেও তাঁর ঋণ কিছুটা শোধ করতে পেরেছে। জাতির ইতিহাসে মুজিব চিরকাল মুকুটহীন রাজার আসনে অধিষ্ঠিত এক অতি মানব। জীবন ও যৌবনের সোনালী দিনগুলো দেশের মাটি ও মানুষের জন্য তিলে তিলে বিলিয়ে দেবার নজির একমাত্র শেখ মুজিব ছাড়া আর কোনো বাঙালির নেই। এজন্যে মুজিব হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ছিলেন সিলেটের বালাগঞ্জের আতাউল গণি ওসমানি। তিনি জেনারেল এম এ জি ওসমানি নামেই সমধিক পরিচিত। কেন জানি আমাদের ইতিহাসে তিনি আজও উপেক্ষিত। জেনারেল ওসমানির নাম আজ বিস্মৃতির পথে। নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলে-মেয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই মহানায়কের নামটি জানে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওসমানি সাহেব পাক সেনাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ছিলেন। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে শেখ মুজিবকে বন্দি করে নিয়ে যাবার পর জেনারেল ওসমানিকে বন্দি করতে না পারার কারণে ইয়াহইয়া-ভুট্টো আফসোস করেছিল বলে জানা যায়। চির কুমার সেই ব্যক্তিটিকে আজ আমরা স্মরণ করার গরজ বোধ করি না। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় বঙ্গবন্ধু  যখন পাক বাহিনীর খাঁচায় আবদ্ধ, যুদ্ধের ময়দানে  জেনারেল ওসমানি তখন মুক্তি বাহিনীর একমাত্র ভরসা। প্রখর মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে মুক্তি বাহিনীকে নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে সর্বশেষ গেরিলা যুদ্ধের দ্বারা পাক বাহিনীকে পরাস্ত করে কেবল দেশকে শত্রুমুক্ত কিংবা স্বাধীনই করেননি, সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

জানিনে কোন কারণে পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল ওসমানীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হতে দেয়া হয়নি। আজও যখন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের ভিডিও কিংবা স্থির চিত্র প্রত্যক্ষ করি, ইতিহাসের অপূর্ণতার বেদনায় বুক ফেটে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। বাঙালির গৌরব গাঁথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা সেদিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। আজও সে ধারাটি অব্যাহত আছে। আমাদের আজ একান্ত কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখা। নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। মুক্তিযুদ্ধের মতই এও এক কঠিন কাজ। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন একদিন ধুলোয় মিশে যাবে। আমরা একদিন সর্বহারা নিঃস্ব এক জাতির উদাহরণ হয়ে পৃথিবীর বুকে টিকে থাকব। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের দু'টি দিক। একটি রাজনৈতিক। আরেকটি সামরিক। সেই সামরিক দিকটির সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেনারেল ওসমানি। সামরিক দিক বাদ দিলে যেমন মুক্তিযুদ্ধ পূর্ণতা পায়না, তেমনি ওসমানিকে বাদ দিয়ে বিজয়ের সত্যিকারের ইতিহাস রচিত হয় না।

 মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত অহেতুক নানা বিতর্ক জাতি হিসেবে আমাদের কলংকিত করে রেখেছে। এসব বিষয়ের চুড়ান্ত ফয়সালা না হলে নতুন প্রজন্মকে নানা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হবে। বিভিন্ন সময়ে ইতিহাস বিকৃতির ধারাবাহিক অপচেষ্টার কারণে এসব বিতর্কের জন্ম হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রসঙ্গ  ইত্যাদি নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্ক জিইয়ে রাখা হয়েছে। এসব বাঙালি জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করে রাখার হীন চক্রান্ত বৈ অন্য কিছু নয়। এসবের আশু মীমাংসা একান্ত অপরিহার্য।

আজ বিজয় দিবসে দৈনিক শিক্ষার অগণিত পাঠকের জন্য কিছু লিখতে বসে মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। সীমান্ত এলাকায় বাড়ি বলে শিশু বয়সেই মুক্তিযুদ্ধ খুব কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছিল। আজ সে সবের কোন কোন ঘটনা মনে হলে শরীর শিউরে উঠে। '৭১ সালে বাঙ্গালি জাতির ওপর দিয়ে একটা ছোটখাট কেয়ামত অতিবাহিত হয়েছে। জাতি চরম ধৈর্য ও অদম্য সাহসিকতা নিয়ে সে দুঃসময়টি পার করেছে। আত্মত্যাগের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে এসেছে। এমনি এমনি বিজয় এসে ধরা দেয়নি।

আমার গ্রামের কয়েকজন লোক মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। পাক সেনাদের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন রাজাকারও হয়েছিল। দেশের হয়ে সেদিন যারা দেশের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, তারা মানুষ না পশু সে জবাবটি কারো কাছ থেকে জেনে নেবার দরকার পড়ে না। যারা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকের লেখাপড়া ছিল না। তাদের ছিল অদম্য দেশপ্রেম। সেই দেশপ্রেমের টানে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আবার রাজাকারে যারা গিয়েছিল, তারা কেউ কেউ কিছুটা শিক্ষিত ও মোড়ল পরিবারের ছেলেপিলে। আমি ভেবে পাইনা যে, অতি সাধারণ পরিবারের ছেলে-পেলের মনে যুদ্ধে যাবার অনুপ্রেরণা সেদিন কে জাগিয়ে দিয়েছিল? অন্যদিকে, যারা নিজের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দাঁড়াতে পেরেছে, তারা নিজের বাবাকে অনায়াসে অস্বীকার করতে পারে। এরা মানুষ নয়। এরা জানোয়ার।

গ্রামে মাত্র কয়েকটি হিন্দু পরিবার ছিল। যুদ্ধের সময় এই পরিবারগুলোর ওপর কী যে নিপীড়ন ও নির্যাতন গেছে, সে কেবল তারা জানে। গ্রামে এক সময় ছয় কুড়ি ঘর হিন্দুর বসবাস  ছিল বলে লোক মুখে কথিত হয়। ছয় কুড়ি মানে ১ শত ২০। কুড়ি মানে ২০। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় এবং ১৯৬৫ সনের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় অনেকে ভারতে চলে যায়। দেশে আর ফিরে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র হিন্দু পরিবার অবশিষ্ট ছিল। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময় এক রাতে গ্রামে ঢুকে পড়ে পাক সেনার একটি দল। তান্ডব চালায় হিন্দু পরিবারগুলোর ওপর। দু'জন পুরুষ মানুষ ধরে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুর বেলা গ্রামের পাশের আমরি খালে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পানিতে ভাসমান পাওয়া যায়। অন্য জনের আজ পর্যন্ত আর কোন খোঁজ মেলেনি। 

বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সম্মানিত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। '৭৫ পরবর্তি দিনগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন দাম ছিল না। জাতির সূর্য সন্তানেরা অবহেলা আর অযত্নে দিনাতিপাত করেছেন। আজ তারা সম্মানের সাথে জীবন-যাপন করছেন। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামীলীগ ও এর নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দিতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আজ ক্ষমতায় বলে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান নিয়ে কবরে পর্যন্ত যেতে পারছেন। মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাদের সমাহিত করে জাতি তাঁদের ঋণ পরিশোধের শেষ প্রয়াসটুকু চালিয়ে থাকে। তাদের শেষ বিদায়ে জানিয়ে দেয়া হয়, তাদের এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। এরপরও কথা থেকে যায়। যখন দেখতে পাই, ভুঁয়া মুক্তিযোদ্ধা সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে বুক উঁচিয়ে কথা বলে। এদের কাছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা নানাভাবে নিগৃহীত হয়। আজও প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবন যাপন করেন। অনেকে এমন আছেন, যারা আজ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটুকুও পান নাই। বিজয়ের এই দিনটি তাদের জন্য কেবল দীর্ঘশ্বাসই বয়ে আনে।

এ লেখাটি যখন শেষ করতে যাবো তখন মসজিদের মাইকে একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর সংবাদ বিজয়ের আনন্দকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে। আমার পাশের নেহালপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান এক সাধারণ পরিবারের মানুষ। ডাকনাম কুটি মিয়া। এই নামে তাকে সবাই চেনেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাগড়া জোয়ান কুটি মিয়া নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমার বাবার বয়েসী কুটি মিয়ার সাথে আমার খুব সখ্য ছিল। দেখা হলেই কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলতেন। মুক্তিযুদ্ধের নানা কথায় মাতিয়ে তুলতেন। আজ মহান বিজয়ের দিনে তাঁর জীবনাবসান হলো। কী অদ্ভুত মেলবন্ধন! বিজয়ের দিনে একজন মুক্তি সেনার মহা প্রয়ান!  এপারে-ওপারে দুই পাড়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ভাল থাকুন-পরম করুণাময়ের কাছে আজকের বিজয় দিবসে এই নিবেদন করি। মুক্তিযোদ্ধা কুটি মিয়ার পরিবার-পরিজনের জন্য সমবেদনা জানাই। জাতির এই সূর্য সন্তানের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। 

 

লেখক : অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট এবং দৈনিক শিক্ষার নিজস্ব সংবাদ বিশ্লেষক।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037291049957275