বিশ্বাসযোগ্য ও বিতর্কমুক্তভাবে ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। একই সাথে বোর্ড থেকে চিঠি পাঠিয়ে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের বিষয়টি কমিটির সভাপতিকে অনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা বোর্ড থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
গত ৪ জুলাই ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগের বিতর্কিত প্রক্রিয়া বাতিল ও অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির এবং অধ্যক্ষসহ পাঁচ জনকে নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে আজীবন নিষিদ্ধ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ভিকারুননিসায় বিশ্বাসযোগ্য ও বিতর্কমুক্তভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কমিটিকে নির্দেশনা দিতে বলা হয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। সে প্রেক্ষিতে আজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে এ চিঠি পাঠালো ঢাকা বোর্ড।
জানা গেছে, ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া দুদকের উপপরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের স্ত্রী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিল সদ্য বিদায়ী নির্বাচিত গভর্নিং বডি। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় ৩০ নম্বরের মধ্যে মাত্র সাড়ে ৩ পান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফা। তবে মৌখিক পরীক্ষায় ও একাডেমিক পারফরমেন্সের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষায় প্রথম করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত জুনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের কাছ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সে প্রতিবেদনের আলোকেই গত ৭ জুলাই অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করে বিশ্বাসযোগ্য ও বিতর্কমুক্তভাবে ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।