যশোর-৪ আসনের এমপি রনজিৎ কুমার রায়ের স্ত্রী নিয়তি রানী রায় বিদ্যালয়ের মাঠ ইজারা নিয়ে সেখানে হাট বসিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি দুটি বিদ্যালয়ের মাঠ ইজারা নিয়ে সেখানে হাট বসিয়েছেন। বিদ্যালয়গুলো হলো- অভয়নগর উপজেলার টিপিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং খাজুরা মাখনবালা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সমাবেশ ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, বাঘারপাড়ার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শাহনাজ বেগম হাটের ইজারা দেন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সহযোগী দৈনিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। এর মধ্যে প্রতি রোববার কাঁচাবাজার শেষ হওয়ার পরই ছাগলের হাট বসে বিদ্যালয় দুটিতে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাটের দিন স্কুলে অ্যাসেম্বলি করা যায় না। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে না। প্রচন্ড ভিড়ের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুলে পৌঁছতে পারেন না।
ক্ষমতায় থাকলে যে শিক্ষা ও সমাজবিরোধী কাজ দাপটের সঙ্গেই করা যায়, সেটার প্রমাণ এই ঘটনাটি। যশোরের মতো দেশের অন্যান্য জেলায়ও অনেক বিদ্যালয়ের মাঠ অবৈধবাবে দখল করে রেখেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীরা। সারা দেশেই দিনে দিনে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠসহ উন্মুক্ত জায়গার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের মানুষের খেলাধুলা, শরীরচর্চাসহ চিত্তবিনোদনের সুযোগ সঙ্কুচিত হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, একজন সংসদ সদস্যের স্ত্রী কীভাবে বিদ্যালয়ের মাঠ ইজারা নিয়ে হাট দেয়ার সুযোগ পান? আর ইউএনও-ই বা কীভাবে বিদ্যালয়ের মাঠ হাট বসানোর জন্য ইজারা দেন? যেখানে ইউএনও এবং সংসদ সদস্যের স্ত্রী বিদ্যালয়ের মাঠ যেন দখলমুক্ত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন বা কেউ যেন অবৈধ দখল করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকবেন। তা না করে উল্টো নিজেরাই বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করছেন বা ইজারার নামে দখল নিচ্ছেন।
আমাদের কথা হচ্ছে, যে দুটি বিদ্যালয়ের মাঠ সংসদ সদস্যের স্ত্রী ইজারা নিয়ে হাট বসিয়েছেন, ইজারা বাতিল করে সে দুটি বিদ্যালয়কে দখলমুক্ত করতে হবে। স্কুলের মাঠ দুটিকে মুক্ত করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
সৌজন্যে: সংবাদ