কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা সরকারিভাবে এতদিন বিনামূল্যে করা হলেও সেটা আর বিনামূল্যে থাকছে না। করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারিভাবে ফি নির্ধারিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা আলোচনা হয়েছিল, এখনও কিছু ফাইনাল হয় নাই। সরকারের তো অনেক খরচ হচ্ছে, ধরেন একটা টেস্ট করতে বেসরকারিভাবে আমরা বেঁধে দিয়েছি তিন হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু আসলে ল্যাব বসানোর খরচ, যন্ত্রপাতির খরচ এগুলো যদি ধরা হয় আরও বেশি পড়ে সেক্ষেত্রে। এখন তো টেস্টের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজারের কাছে চলে গিয়েছে, প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। সেজন্য সামান্য ফি ধরার একটা চিন্তা হচ্ছে। হিসাব-নিকাশ হচ্ছে, মিনিমাম কতটুকু কী করা যায়। ফাইনাল হলে নিশ্চয়ই জানতে পারবেন, অফিসিয়ালি আমরা ঘোষণা করে দেবো, বেশি দেরি হবে না, খুব তাড়াতাড়িই হবে।’
ফি কত হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অল্প ফিগার ধরা হবে, বেশি না। এ নিয়ে কাজ চলছে, সবকিছু মিলে গেলে আমরা নির্ধারণ করে দেবো।’
ফি কত হতে পারে এ বিষয়ে সূত্রটি জানায়, খসড়াতে রয়েছে সরকারি হাসপাতালের লাইনে বা ভর্তি হওয়া রোগীদের এবং সরকারি বুথগুলোতে ফি হবে ২০০ টাকা। আর বাসা থেকে থেকে টেস্ট করাতে চাইলে ফি হবে ৫০০ টাকা। এটা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, সচিব এবং মন্ত্রী মহোদয় দেখে অনুমোদন দেবেন।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বিষয়টি এখনও খসড়া পর্যায়ে পড়েছে, সবকিছু ফাইনাল হবার পর এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র জানায়, সরকারিভাবে ফি নির্ধারণের জন্য কথাবার্তা চলছে, কিছুটা এগিয়েও গেছে, এখনও ফাইনাল রেজাল্ট হয়নি।’
হঠাৎ করে কেন ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে সূত্র জানায়, সরকার তো কিট কিনে আনছে। যে দামে কিনে আনা হচ্ছে, সে দামে না হয়ে তার চেয়ে কম হলেও যদি সবাই কন্ট্রিবিউশন করে তাতে কিছুটা উপকার হয়।