বিপন্ন শৈশব - Dainikshiksha

বিপন্ন শৈশব

পবিত্র সরকার |

এই দেশে, আমাদের নাকের সামনে গাজরের মতো ‘অচ্ছে দিন’ ঝুলিয়ে রাখা ভারতে, অধিকাংশ মানুষের জীবনের বিপন্নতার ছবি এত বিচিত্র এবং বহুব্যাপ্ত যে, শৈশব যে বিপন্ন হবে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। এই শিশুমৃতুর দেশে শৈশব পাওয়ার আগেই মরে যায় কত শিশু! এই সেদিন গোরক্ষপুরের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেল কতজন শিশু, তার হিসাব কি আমাদের মনে আছে? আর যারা জীবন পেল তাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে বিপন্নতার আক্রমণ নেই? কৈশোর-যৌবন বিপন্ন নয়? বার্ধক্য বিপন্ন নয়? তাহলে আমরা শুধু শৈশবকে আলাদা করে আনি কেন?

আচ্ছা, না হয় বুঝলাম তার একটা আবেগগত কারণ আছে- শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ… ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এবার প্রশ্ন হল, কার শৈশব? গ্রামের শিশুর? শহরের শিশুর? গরিব শিশুর? মধ্যবিত্ত ও ধনী শিশুর? আমরা কি বিপন্ন সেই শৈশবের সামাজিক ঠিকানাটা সব সময় চিহ্নিত করতে পারি?

যে দেশে শিল্পের অভাবে বেকার শ্রমিক আর ঋণশোধের অক্ষমতায় হাজার হাজার চাষী আত্মহত্যা করে চলে, বাড়ির রুটি জোগানোর মালিক হতাশ বসে থাকে বা পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে যায়, সেখানে বিপন্ন শৈশবের কথাটা মধ্যবিত্তের ন্যাকামি বলে মনে হয়। আমার বিশ্বাস, এই কথাটাকে আমরা একটা সংকীর্ণ শ্রেণী সংস্কারের মধ্যে থেকে যেন উচ্চারণ করি। কার শৈশব বিপন্ন বলে আমরা ভাবি? না, আমাদের চোখের সামনে থাকে সেই মধ্যবিত্ত ছেলে বা মেয়ে, যার বাবা-মা মোটামুটি দামি স্কুলে তার পড়ানোর ব্যবস্থা করে, পরিষ্কার ও ইস্ত্রি করা ইউনিফর্ম এবং পালিশ করার মতো জুতা কিনে দেয়, গাড়িতে বা স্কুলবাসে স্কুলে পাঠায়, তাদের শৈশবই যেন বিপন্ন বলে আমরা ভাবি, কারণ তাদের স্কুল ব্যাগটা, সুমনের ভাষায় ‘বড্ড ভারি’, টুইশন থেকে টুইশনের রুটিনে তাদের দিনের সময় একেবারে ঠাসা, ছুটির দিনেও তাদের অভিভাবকরা তাদের ছবি আঁকা, সাঁতার বা খেলার ক্লাসে নিয়ে যায়- সেগুলোও তাদের কাছে বিরক্তিকর রুটিন হয়ে ওঠে। তাদের নিজের আনন্দের জন্য খেলাধুলার সময় নেই, বইপড়ার সময় নেই।

‘বিপন্ন শৈশব’ বলতে আমরা শুধু এসব শিশুর দিকে লক্ষ্য রাখি। হায়, এই শিশুরা তো তবু স্কুলে যেতে পারছে, অনেকেই রীতিমতো দামি স্কুলে; কিন্তু ভারতের যে অসংখ্য শিশু স্কুলেই যেতে পারল না ‘সবার জন্য শিক্ষা’ আইন সত্ত্বেও, তাদের শৈশব কোথায় কতটা বিপন্ন, তা নিয়ে আমরা মধ্যবিত্তরা কি খুব বেশি মাথা ঘামাই? উদ্বিগ্ন থাকি? আমাদের শৌখিন ‘বিপন্ন শৈশব’ কথাটাকে নিংড়ে সেই অর্থটা বেরিয়ে আসে কিনা সন্দেহ!

অবশ্য সব মধ্যবিত্তও তো এক স্তরের নয়। আমরা যাদের একসময় ‘ছোটলোক’ বলতাম (এখনও হয়তো মনে মনে বলি), তারাও এখন চাইছেন তাদের ছেলেমেয়েরাও ‘বাবু’ বা ভদ্রলোক হয়ে উঠুক। শুনেছি সমাজতত্ত্বের ভাষায় এদের বলা হয় proto-elite। তা তো তারা চাইবেনই। কারণ আমরা তথাকথিত ‘বাবু’রা এতদিন তো তাদের একটু অবজ্ঞার চোখে দেখে এসেছি, তুই তোকারি করেছি, তাদের মানুষ বলেই গণ্য করিনি। আমরাই তাদের মনে এই অপমানহত উচ্চাকাঙ্ক্ষা বুনে দিয়েছি, তারা যেখানেই থাকুন, তাদের সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে বাবু করতে হবে, দরকার হলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে হবে। তাই তাদের ছেলেমেয়েদেরও দেখি, মুরগির খাঁচার মতো রিকশা ভ্যানে ঠাসাঠাসি করে ‘লিটল ফ্লাওয়ারস’ বা ‘ডিভাইন এঞ্জেলস’ জাতীয় স্কুলে যায় আসে। তাদের শৈশবও কি বিপন্ন নয়?

ভালো স্কুলে যারা ভর্তি হতে পারে না, তাদের মনে একটা ব্যর্থতার গ্লানি অনেক সময় অভিভাবকরাই গুঁজে দেন। আমার মনে আছে, দক্ষিণ কলকাতার একটি বিখ্যাত স্কুলে একটি বছর তিনেকের শিশু ভর্তি পরীক্ষায় পারেনি, তো তার মা স্কুল থেকে বেরোনো মাত্র তার গালে একটি চড় কষিয়ে দিয়ে বলেছিল, ‘তুই একটা বাজে, অপদার্থ মেয়ে, তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ওই প্রশ্নটা পারলি না?’ মেয়েটি চারপাশের মানুষজন দেখে শব্দ করে কাঁদেনি, কিন্তু আজ পঞ্চাশ বছর পরও মেয়েটির দু’গাল বেয়ে নামতে থাকা চোখের জলের ওই ছবিটা আমি ভুলতে পারিনি। তার মায়ের হতাশাও আমি বুঝি। সে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণপণে মেয়েকে শিখিয়েছে, তার বদ্ধমূল বিশ্বাস- ওই স্কুলে একবার ভর্তি হতে পারলে তার মেয়ের জীবন সর্বাঙ্গ সুন্দর হবে। সেখানে মেয়ের ব্যর্থতা তার কাছে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী!

বিপন্নতার নানা চিহ্ন

দীর্ঘদিন ধরে এই চিহ্নগুলো নিয়ে আলোচনা হয়ে আসছে, ফলে তালিকাটি আমাদের মুখস্থ হয়ে যাওয়ার কথা। আমাদের মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়েরা, যারা বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যায়, তাদের বিশ্রাম নেই, স্বস্তি নেই; তাদের সারাটা দিন ও রাত শিক্ষার শিকলে বাঁধা অবস্থায় গড়িয়ে গড়িয়ে চলে। ঘুম থেকে তাদের ডাকাডাকি করে উঠাতে হয়, ঘুমের ঘোরের মধ্যে তাদের দাঁত মাজিয়ে, বাথরুম করিয়ে, স্নান করিয়ে, ব্রেকফাস্ট খাইয়ে, টিফিনের বাক্স সাজিয়ে, জলের বোতল ভরে, জামা-কাপড় জুতা পরিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি রাখতে হয়, কারণ তাদের স্কুলবাস এসে পড়বে। স্কুল যদি ৮টায় বসে তো স্কুলবাস আসবে সকাল সাড়ে ছয়টায়, কারণ বাস ত্রিশ-পঁয়ত্রিশটি ছেলেমেয়ে তুলে স্কুলে পৌঁছবে, কাজেই অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে দূরের ছাত্রকে রেডি থাকতে হবে। স্কুল বারোটায় ছুটি হলে বাড়ি পৌঁছাতে সেই দেড়টা। ছেলে বা মেয়ে স্কুলে যেতে যেতে বাসের মধ্যে ঢুলবে, যদি না পাশের কোনো অতিরিক্ত জীবনীশক্তিওয়ালা সহযাত্রী তার চুল ধরে টানাটানি না করে, বা তাকে খুঁচিয়ে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা না করে। তার স্কুলব্যাগটা যে বিষম ভারি তা তো এখন কিংবদন্তি হয়ে গেছে সুমনের গানের সূত্রে। যখন সে এই ব্যাগ বহন করে তখন তার পিঠ কতটা বেঁকে যায়, তা অস্থিবিশারদ ডাক্তাররাই বলতে পারবেন। অনেক বই, অনেক খাতা, টিফিন বাক্স, পেন্সিল আর কলমের বাক্স, একটা প্রিয় খেলনা- কী থাকে না তাতে?

স্কুলে কী হয় তার নানা খবর তো খবরের কাগজে বেরোয় বা টেলিভিশনে দেখা যায়। হোমওয়ার্ক না নিয়ে গেলে শিক্ষিকা হাত মুচড়ে দেন, বাথরুমে যেতে চাইলে ধমকান বা পেটান, সামান্য অপরাধে মারধর করেন। না, সব স্কুলে প্রতিদিন এ রকম হয় তা বলছি না। কিন্তু সমস্যা হল, স্কুলের ক্লাসঘরে পাঠদানের প্রক্রিয়াটা এখনও আমাদের দেশে সেই মান্ধাতার আমলেই থেকে গেছে। সেই অপুর পাঠশালার ছবি। শিক্ষক বা শিক্ষিকা আধিপত্য বিন্যাসের একেবারে চূড়ায় বসে থাকেন আর আধিপত্যের একেবারে তলায় থাকে দুর্বল ছাত্রছাত্রীরা। ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকা অনেকের হাতে আগের মতো বেত, রুলার বা স্কেল না থাকলেও তাদের কারও কারও মুখ গম্ভীর থাকে, ভ্রূ কোঁচকানো, চোখের দৃষ্টি কঠোর। ফলে শিশুরা একটা স্নেহহীন, প্রশ্রয়হীন আবহে গিয়ে পড়ে। লেখাপড়া ব্যাপারটা সম্বন্ধেই তাদের একটা ভয় জন্মে যায়। আমি অন্যান্য বিষয়ের কথা জানি না, কিন্তু ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলেও যে বাংলা পড়ানো হয়, তার ভয়াবহতার খবর রাখি। যে শব্দ তারা জীবনে ব্যবহার করবে না সেসব কঠিন কঠিন শব্দ তাদের শেখাতে হয়, ক্লাস থ্রি থেকেই ব্যাকরণ ধরানো হয়, আর এমন সব প্রবাদ প্রবচন শেখানো হয় তা তাদের জীবনে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। যেমন ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।’ শহরের মেয়ে জীবনে ঢেঁকি দেখেনি, কখনও দেখবে না। তার বাবা-মাও দেখেছে কিনা সন্দেহ। এই প্রবচন তার কোন কাজে লাগবে? এই পাঠ তাকে মোটেই আকর্ষণ করে না।

তার ওপর হোমওয়ার্ক নামে একটা ভয়াবহ বিষয় থেকে যায় বেশিরভাগ স্কুলে। এটা করে না নিয়ে গেলে শাস্তিরও অভাব ঘটে না। এই হোমওয়ার্ক শিশুর বিকালের বিশ্রাম কেড়ে নেয়, রাত্রের যথেষ্ট ঘুম থেকে তাকে বঞ্চিত করে। হোমওয়ার্ক এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য সবাইকে ‘টপার’ হতে হবে- এ সমাজ বেশ কিছুদিন হল এ রকম একটা দর্শনে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, জয় গোস্বামীর কবিতা যার মর্মান্তিক চেহারাটা তুলে ধরেছে। তাই শিশুর নিষ্কৃতি নেই। স্কুলের স্নেহহীন শিক্ষা গ্রহণের ধকল, কখনও শাস্তির অভিজ্ঞতা বহন করে সে যখন বাড়িতে ফিরে এসে খাওয়া-দাওয়া করে, তার পরবর্তী বিশ্রাম সে পায় কি? কতটা পায়? বিকালে কি সে খেলাধুলার সুযোগ পায়? অনেক ছেলেমেয়ে তো বাড়ি ফিরলে মা বা বাবা কাউকে দেখতে পায় না, কাজের লোকের হাতে তার শরীর-মনের আংশিক নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে। ফলে তার অভিভাবকত্বের দায় নিয়ে এই প্রশ্নগুলো উঠেই পড়ে- অফিস থেকে বাবা বা মা বাড়িতে ফিরলে সে কি তাদের সঙ্গে খুনসুটি করে কিছুটা সময় কাটাতে পারে? কর্মজীবী বাবা অথবা মা তার সঙ্গে কতটা মূল্যবান সময় (quality time) ব্যয় করেন? মা-বাবা কি নিজেরা বই পড়েন, যাতে শিশুর মনে হয় বইটা একটা পড়ার জিনিস; তাতে শুধু লেসন নেই, মজাও আছে। মা-বাবা কি এমন কিছুটা সময় শিশুদের জন্য রাখেন- যখন তাদের স্নেহ, দুষ্টুমি আর হাসিঠাট্টার পরিমণ্ডলে সে হালকা হতে পারে? সে কি কখনও গল্পের বই বা ছড়ার বই পড়ার, পছন্দমতো গান শোনার সুযোগ পায়? মা-বাবা কি তাদের কখনও গল্প শোনান, গান শোনান, রূপকথা শোনান, ছড়া পড়ে শোনান? মজার নাটক পড়ে শোনান, অভিনয় করে দেখান, তাকে অভিনয় করতে উৎসাহ দেন? নাকি অষ্টপ্রহর বলেন, ‘পড়, পড়, পড়।’ নাকি তাকে কোনো একটা কাজে বসিয়ে দিয়ে নিজেরা কোনো কাজ বা টেলিভিশনে মগ্ন হয়ে যান? নাকি তাকে দখল করে প্রাইভেট টিউটর বা দিদিমণি- ‘টপার’ করার মহড়া হিসেবে? তার পড়া আর হোমওয়ার্কের নিদান দেয়ার জন্য? এর পেছনে থাকে, বিশেষত ছেলেদের জন্য যাদের ‘টপার’ হওয়া বাধ্যতামূলক। একটা রেললাইন তৈরির চেষ্টা চলে- যে লাইন ধরে তাদের গাড়ি এগোবে বিজ্ঞান শিক্ষার দিকে, তারপর জয়েন্ট এন্ট্রান্সে, তারপর ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্টে, তারপর মার্কিন দেশে গ্রিনকার্ড- সেই অক্ষয় স্বর্গের দিকে।

সচ্ছল মধবিত্তরা অবশ্য আজকাল ছেলেমেয়েদের আরও নানা বিষয়ে পারদর্শী করার কথা ভাবেন। কাউকে ছবি আঁকার স্কুলে দেন, কাউকে সাঁতারে বা জিমনেশিয়ামে নিয়ে যান, কাউকে দেন ক্রিকেট কোচিংয়ে। যদি এতে তাদের রুচি থাকে তো ভালোই, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু তার যদি আগ্রহ না থাকে? আজকাল অবশ্য নানারকমের মনোবৈজ্ঞানিক পরীক্ষার সুযোগ আছে, কাউন্সেলিংও হয়। আজকাল অনেক খেলাধুলায় আর্থিক সম্ভাবনা প্রচুর বেড়েছে বলে কোনো কোনো অভিভাবক অনিচ্ছুক ছেলেমেয়েকেও জোর করে তাতে জুড়ে দেন- এ রকম গল্প উপন্যাস অনেকেই লিখেছেন।

কিন্তু উপায় কী

আমি জানি, অভিভাবকরা বলবেন- এছাড়া আর উপায় কী বলুন! আজকাল ভালো কিছু পেতে হলেই চাকরি হোক কিংবা আর যাই হোক- এক সাংঘাতিক প্রতিযোগিতা চলছে সারা সমাজে; এর মধ্যে আমার শিশুটি যদি পিছিয়ে পড়ে, তা হলে আমার জীবন তো অর্থহীন হয়ে যাবে! আর এটা তো সবাই জানেন- আজকাল সেই আগেকার মতো একান্নবর্তী পরিবার নেই, যেখানে দুটো বেকার ছেলেরও জায়গা ছিল। এখন তো একটি বা দুটি শিশু নিয়ে আমাদের সংসার। ফলে আমাদের বাবা-মার যা কিছু ব্যর্থতা- তার ক্ষতিপূরণের, যা স্বপ্ন- তার পূরণের দায় বেচারা ওই একটি বা দুটি শিশুর ওপর গিয়ে পড়ে। ফলে আমরা অতিরিক্ত কর্তব্য সচেতন হয়ে উঠি, স্নেহের কোটায় কম পড়ে যায়। এই যুক্তিগুলো যে আমি বুঝি না বা তাদের অসহায়তার প্রতি আমার সহানুভূতি নেই, তা নয়। তবু বলি, স্নেহের বিকল্প কিছু নেই। শৈশব থেকেই সন্তানের কাঁধে ‘কর্তব্যের জোয়াল’ জুড়ে দিলে তারও মা-বাবার প্রতি স্নেহের ভাগ কম পড়তে পারে, সেই ভয়াবহ আশংকার কথা যেন আমরা মনে রাখি। অবশ্য আজকের পৃথিবী খুব চালাক, আজকের পৃথিবী এজন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মনে হয়- নইলে চতুর্দিকে এত এত বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠছে কিসের ভিত্তিতে? যদি কোনো সন্তান বলে, তুমি আমার শৈশব নষ্ট করেছ; আমি তোমার বার্ধক্যের বারোটা বাজিয়ে দেব- চারপাশের বৃদ্ধাশ্রমগুলো কি আমাদের এমনটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে না!

আর অন্য শিশুরা?

আর এই মধ্যবিত্ততার আলোকিত বৃত্তের বাইরে রয়ে গেল যেসব শিশু, যারা স্কুলে ঢুকতেই পারল না বা টিকতেই পারল না, যারা শৈশবেই গ্রামের মাঠে কাজ করতে শুরু করল, নদীতে মাছ ধরতে গেল, চায়ের দোকানের জোগানদার হল, গ্যারেজে কাজ নিল বা বিত্তবানের বাড়িতে কাজের মেয়ে হল- তাদের বিপন্ন শৈশব নিয়ে কে ভাবে? রাষ্ট্রও না, আমরাও না।

পবিত্র সরকার : সাবেক উপাচার্য, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

 

সৌজন্যে: যুগান্তর

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0084700584411621