বিবেকের আয়নায় কীভাবে মুখ দেখবেন ভিসি নাসিরের পক্ষে বিবৃতি দেয়া শতাধিক শিক্ষক? - দৈনিকশিক্ষা

বিবেকের আয়নায় কীভাবে মুখ দেখবেন ভিসি নাসিরের পক্ষে বিবৃতি দেয়া শতাধিক শিক্ষক?

এস এম নাদিম মাহমুদ |

কয়েকদিন আগে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ১০৬ থেকে ৭ জন শিক্ষক কথিত উপাচার্যর পক্ষে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। যেখানে তারা বলেছিলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী শিক্ষকদের সরাসরি ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রাখা অনভিপ্রেত বলে সাধারণ শিক্ষকরা মনে করেন।

আমার বিশ্বাস, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা ইতোমধ্যে স্বার্থান্বেষীদের চিনে ফেলেছেন। রক্ত দিয়ে, মার খেয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা আর কিছু না শিখলেও তারা নিজেদের অধিকার আদায় করতে শিখেছে, অশিক্ষার অন্ধকার থেকে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। এরা বড় হয়ে আর যা হোক, অন্তত এই ১০৭ জনের মতো বিবেকহীন শিক্ষিত মানুষ হবেন না।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ, নীতি ব্যবসায়ী, গাঁড়ল উপাচার্যর পক্ষে এই ১০৭ জনের তালিকাটি ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন। চাকরি বাঁচাতে নিজেদের মূল্যবোধ বিকিয়ে দেয়া এইসব শিক্ষকরা যে অন্যায়কারীর পক্ষ নিয়ে সাফাই গেয়েছেন, কয়েকদিন পর ক্লাসে এইসব শিক্ষকরা কি কোনোদিন শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষাটুকু দিতে পারবেন কী? কোন মুখে তারা বলবেন, তোমরা বড় হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে? কোন বিবেকের তাড়নায় তারা শিক্ষার্থীদের সততার শিক্ষা দেবেন?

আমি লজ্জিত এই শিক্ষকদের আচরণে। যারা নিজেরাই এই নাসিরউদ্দিনের দ্বারা শোষিত, নিগৃহীত, নানান অত্যাচারের শিকার, তারা কিভাবে এমন একটি বিবৃতিতে বলতে পারলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও তারা অসহযোগিতা করে এবং অশোভন আচরণ প্রদর্শন করে?

তো স্যার, আপনারা কতজন হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন? কতজন শিক্ষক প্রশাসনের কাছে গিয়ে নিজেদের সন্তানদের সুরক্ষা চেয়েছিলেন? কতজন শিক্ষক এক বাটি ভাত নিয়ে আন্দোলনরতদের দিয়েছিলেন?

না আপনারা নিজেদের বিবেকের কাছে পরাজিত। নিজেরা যদি আজ মেধা দিয়ে শিক্ষকতার সুযোগ পেতেন, তাহলে আজ বিবেকের তাড়নায় ছটফট করতেন। সুপারিশ নিয়ে শিক্ষক হলে, এভাবে অন্যায়কারীরও পূজা করতে হয়।

এখনো সময় আছে, শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলুন। এই ১২ হাজার শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকতার পেশাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করবেন না। আজকের শিক্ষার্থীরা যা আপনাদের কাছ থেকে শিখবে তা ভবিষ্যতে লালন করবে। তাদেরকে যদি আপনারা ভুল মেসেজ দেন, তাহলে আগামীতে এদের কাছে আপনারা প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষক হয়ে যাবেন।

লেখক: পিএইচডি গবেষক, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036590099334717