নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বিমানে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেচেঁ আছেন ২জন। মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাপ্ত তালিকা ও ইউএস-বাংলার প্রকাশিত জীবিত যাত্রীদের তালিকা থেকে প্রিন্সি ধামী ও সামিনা বেনজারখার নামে দুইজন শিক্ষার্থী জীবিত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরা সকলেই নেপালি বংশোদ্ভূত। কলেজের ছুটিতে নিজ দেশে বেড়াতে যাচ্ছিলেন ওই ১৩ শিক্ষার্থী।
নিহতরা হলেন সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, এবং আশ্রা শখিয়া ।সোমবার নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
রাগীব মেডিক্যাল কলেজের অফিস সহকারি নির্মল দাস জানান, রোববার গাইনি ও মেডিসিন বিভাগের এমবিবিএস সমাপনী পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর নেপালি শিক্ষার্থীরা দেশের বাড়িতে ছুটি কাটাতে ইউএস-বাংলায় নেপাল যান।
১১ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার কলেজের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বৃহস্পতিবার কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে।