বিশেষ প্রণোদনা পেতে ফের আবেদন বাদপড়া প্রাথমিকের ১৬ হাজার শিক্ষকের - দৈনিকশিক্ষা

বিশেষ প্রণোদনা পেতে ফের আবেদন বাদপড়া প্রাথমিকের ১৬ হাজার শিক্ষকের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনা পেতে ফের আবেদন জানিয়েছেন বাদপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষক। আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন জমা দেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এর আগে গত ৬ ও ২১ এপ্রিল সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠির মাধ্যমে আর্থিক প্রণোদনার আবেদন জানানো হয়।

জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পেলেও বরাবরের মতোই আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত সরকারিকরণের তালিকা থেকে বাদপড়া ৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক। জীবিকা নির্বাহের জন্য এসব শিক্ষকরা খণ্ডকালীন কাজ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, টিউশন, কৃষি কাজসহ বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। চলমান পরিস্থিতিতে এসব কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিক অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন এসব শিক্ষকরা। এমন অবস্থায় ফের প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন তারা।

আরও পড়ুন : বিশেষ প্রণোদনা চান বাদপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষক

আবেদনে শিক্ষকরা বলেন, সারা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রার্দুভাব যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল সরকারের পক্ষ থেকে সব পেশার মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ৬ এপ্রিল খোলা চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রণোদনা জন্য আবেদন করেছিল। করোনার কারণে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে করে সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিপাকে না পড়লেও বিপাকে পড়েছিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

এদিকে, নন-এমপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এককালীন প্রণোদনা পেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা না হওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বেতন ভাতা না থাকায় জীবনযাপনের জন্য এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পাঠদান শেষে টিউশনি বা বিভিন্ন ক্ষুদ্র কাজে কর্মরত ছিলেন। করোনা ভাইরাসের কারণে তাও বন্ধ। কর্মহীন হয়ে পড়ায় স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা, পরিবার-পরিজন নিয়ে মহা-বিপদে আছেন তারা। এমনকি অনেক শিক্ষকের পরিবারে এখন খাবার পর্যন্ত নেই।

আবেদনে শিক্ষকরা আরও বলেন, এ সংকটকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে মানবিক সহায়তা ও নানা খাতে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। আমাদের বিশ্বাস, আজকের এ আবেদনের মাধ্যমে এই অসহায় শিক্ষকদের জন্য তিনি নিশ্চয়ই প্রণোদনা ব্যবস্থা করবেন।

তারা বলেন, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার ১৬০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব হাতে নিয়েই ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। কিন্তু সেই সময় মাঠ পর্যায়ের পরিসংখ্যান ভুলের কারণে প্রায় ৪ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় সরকারিকরণ হয়নি। এ বিদ্যালয়গুলো মধ্যে ১ হাজার ৩০০ বিদ্যালয় সরকারিকরণের জন্য যাচাই-বাছাই করা হয় যা এখনো মন্ত্রণালয়ে জমা রয়েছে।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0084681510925293