বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

আজ ৫ অক্টোবর। বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আমার সব মরহুম ও জীবিত শিক্ষকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখাটি শুরু করতে চাই। সেই সাথে বিশ্বের সকল স্তরের শিক্ষকদের অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাই। অনেক ক্ষেত্রে পিতামাতা কেবল সন্তান জন্ম দিয়েই ক্ষান্ত হন। কিন্তু শিক্ষকেরা শত কষ্টে আমাদের মানুষ করে গড়ে তুলেন। তাই, তাদের প্রতি আমাদের দেনার কোনো শেষ নেই। গ্রীক বীর মহামতি আলেকজাণ্ডার তাঁর শিক্ষকের প্রতি এই বলে সম্মান জানিয়েছিলেন, 'I am indebted to my father for living, but to my teacher for living well'. শিক্ষা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শিক্ষকদের সম্মান জানাতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো ৫ অক্টোবর তারিখকে 'বিশ্ব শিক্ষক দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। প্রতি বছর এই তারিখে ১০০'র বেশি দেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়। জাতিসংঘের সহযোগি সংস্থা ইউনেস্কো এ দিনটি শিক্ষকদের সম্মানে উৎসর্গ করেছে। অবশ্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করলেও ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব শিক্ষক দিবস হলো ৫ অক্টোবর।

আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও অন্য একটি দিনে ৫ সেপ্টেম্বর তা পালিত হয়। প্রতি বছর ইউনেস্কো বিশ্ব শিক্ষক দিবসের একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দেয়। গত বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো-'তরুণ শিক্ষক, পেশার ভবিষ্যত'। করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে-'শিক্ষক : সংকটে নেতৃত্ব, নতুন করে ভবিষ্যতের ভাবনা' ('Teachers : leading in crisis, reimaging the future')।শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানকে শ্রদ্ধাভরে এদিন স্মরণ করা হয়ে থাকে। সেই থেকে দিনটি পৃথক মর্যাদা পেলেও বাংলাদেশের মতো যে সব দেশে শিক্ষা ও শিক্ষক সমাজ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার, তাদের কাছে দিনটি অন্যভাবে এসে হাজির হয়। শিক্ষার দুরাবস্থা ও শিক্ষকের বঞ্চনার কথামালায় ভরে ঠে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানগুলো। কাব্য ও কবিতায় কিংবা সাহিত্য আর বক্তৃতায় শিক্ষক অনন্য ও অসাধারণ ! কথার ফুলঝরিতে শিক্ষক হয়ে উঠেন অতিমানব কিংবা মহামানব। এভাবে কথায় ও কাব্যে আর কোথাও শিক্ষকদের তুষ্ট করে রাখার প্রয়াস চলে কীনা, কে জানে ? বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রাক্ষালে এ জাতীয় নানা প্রশ্ন মনকে সত্যি সংক্ষুব্ধ করে তুলে। তবু শান্ত্বনা এই ভেবে, শিক্ষকদের আর কিছু নাই থাকুক নিজেদের একটি দিন তো আছে। সেটি বিশ্বময় স্বীকৃত একটি দিবস। অন্তত দিনটি অন্য আর কারো নয়। একান্তই শিক্ষক সমাজের নিজস্ব একটি মর্যাদার দিন। শিক্ষকদের সম্মান ও ভালবাসা প্রদর্শনের মোক্ষম একটি দিবস।

আমাদের দেশে দিবসটি নিয়ে সরকারি কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না। দিনটির ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই। ইউনেস্কোর সাথে ইউনিসেফ, আইএলও, ইউএনডিপি ও এডুকেশন ইন্টারন্যাশন্যাল'র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা যেখানে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনে তৎপর থাকে, সেখানে আমাদের দেশে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় কেনো দিনটি পালিত হয় না, সেটি  বোধগম্য নয়। কতো ছোটখাটো ও গুরুত্বহীন দিবস হাকডাক করে প্রতিপালিত হয়। টিএনও, ডিসি এবং সচিবেরা পর্যন্ত ছোটখাটো দিবস পালনে গলদগর্ম হয়ে উঠেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ এ জাতীয় দিবস উদযাপনে হুমুড়ি খেয়ে পড়েন। সরকারের কতো টাকা খরচ হয় ! কিন্তু শিক্ষকদের জন্য ইউনেস্কোর উৎসর্গীকৃত দিবসটি পালনে কারো কোনো দায় নেই। শিক্ষকেরা নিজে থেকে পকেটের টাকা খরচ করে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। দাওয়াত দিলে আমলা, রাজনীতিক কিংবা সমাজপতিরা আসতে তেমন আগ্রহ দেখান না।

এর কারণ শিক্ষকদের জীবনে আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা। আজকাল সামর্থ্যবানদের ডাকে সবাই সাড়া দেয়। শিক্ষকেরা সামর্থ্যহীন শ্রেণির মানুষ। বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকগণ এক রকম 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' অবস্থায় দিনাতিপাত করেন। আজকাল যার আর্থিক স্বচ্ছলতা যত বেশি, তাঁর মর্যাদা তত বেশি। অশিক্ষিত ও নিরক্ষর সামর্থ্যবানদের ঠেলায় সমাজে আজ সামর্থ্যহীন শিক্ষকেরা এক রকম কোনঠাসা হয়ে আছেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় আজ আমাদের দেশে শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা একান্ত তুচ্ছ পর্যায়ে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কবি কাদের নেওয়াজের 'শিক্ষাগুরুর মর্যাদা' শীর্ষক কবিতা ছাড়া আর কোথাও শিক্ষকের মর্যাদা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তদুপরি দেশে অবশ্য দু' একটি এনজিও তথা বেসরকারি সংস্থা বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। তারা কতটুকু মনে প্রাণে শিক্ষকদের ভালবেসে দিবসটি পালন করে, সে নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন থেকে যায়। এর পেছনে তাদের অন্য কোনো স্বার্থ লুকিয়ে থাকতে পারে।

কেবল সরকারের কথা বলি কেনো, আমাদের এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা শিক্ষা দিবস কিংবা বিশ্ব শিক্ষক দিবস কত তারিখে উদযাপিত হয় তা জানেন না। আজ কয়েক বছর ধরে কেবলমাত্র জেলা পর্যায়ে শিক্ষক সমিতিগুলো বিশ্ব শিক্ষক দিবসের ছোটখাট অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি পালনের কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না। শিক্ষক সমাজ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করে নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে পারতেন। শিক্ষা ও শিক্ষকের মান-মর্যাদা ও তাদের দূরদর্শার কথা তুলে ধরতে পারতেন। সরকার শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দেখাতে প্রতি বছর অন্যান্য দিবসের ন্যায় রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালনের উদ্যোগ নিতে পারতো। এ ক্ষেত্রে সরকারি কার্পণ্য শিক্ষক সমাজকে সত্যি মর্মাহত করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। উদাহরণ হিসেবে আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের দিকে তাকানো যায়। সেখানে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এদিন নানা আনন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মিষ্টিমুখ করায় এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করে। এভাবে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা শিক্ষকদের সাথে পুরো দিন কাটায়। জাপানে শিক্ষকদের সম্বন্ধে এরকম একটি প্রবাদ আছে-'Better than a thousand days of delight study is one day with a great teacher'.

বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রাক্ষালে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষক সমাজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে বিশদ আলোচনার অবকাশ থেকে যায়। বৃটিশ শাসনামল কিংবা পাকিস্তানীদের শাসনকালে শিক্ষা ও শিক্ষকদের উন্নয়নে কেউ হাত দেয়নি। দেশ স্বাধীন হবার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষায় যে আশার আলোটি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর  স্বপরিবারে নিহত হবার পর সেটি একেবারে নিভে যায়। কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট আলোর মুখটুকু দেখতে পারে নাই। সেই থেকে আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষকদের দূর্দিনের সুত্রপাত। এর খেসারত আজ গোটা জাতিকেই দিতে হচ্ছে। বিগত সরকারগুলোর আমলে শিক্ষা ও শিক্ষকের মান-মর্যাদা উন্নয়নে কার্যকর  কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দেশে সব শিক্ষাস্তর মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখের মতো শিক্ষক কর্মরত আছেন। সরকারি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ছাড়া অবশিষ্ট শিক্ষকগণ আজ কেমন মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে দিনাতিপাত করছেন ? এসব শিক্ষক 'বেসরকারি' বলে আমাদের সমাজে এক রকম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হন। তাদের মধ্যে এক শ্রেণির শিক্ষক 'এমপিওবিহীন' অপবাদে জর্জরিত হয়ে জীবনের সাথে সংগ্রাম করে নিরন্তর শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

এবার ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে বিশ্ব শিক্ষক দিবস অন্য রকম প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। জাতির জনকের জন্মশত বর্ষে শিক্ষা জাতীয়করণের স্বপ্নটি কেবল শিক্ষক সমাজের নয়, গোটা দেশের আপামর জনসাধারণের। জাতির জনকের তনয়া শেখ হাসিনা যখন দুর্বার গতিতে প্রিয় স্বদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিটি খুব বড় কোনো দাবি নয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির দ্বারপ্রান্তে এসেও অন্তত মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরটি জাতীয়করণ করা না গেলে সেটি জাতি হিসেবে আমাদের মুখটি অনেক ছোট করে ফেলবে। 

এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্যের আলোকে দেশের শিক্ষক সমাজকে যে কোন সংকটে নেতৃত্ব দেবার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জনে আরো বেশি সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকেরা অতীতে সকল জাতীয় সংকটে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানী আমলে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্বের ভুমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সময়ে করোনা মহামারিতে শিক্ষার ধ্বস ঠেকিয়ে দেশ ও জাতিকে এই কঠিন দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিতে দেশের শিক্ষক সমাজ সর্বদা তৎপর আছেন। যে কোনো সংকটে শিক্ষকের নেতৃত্ব দেবার সামর্থ্যটুকু আগে থেকেই অর্জন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। সংকটে শিক্ষকের নেতৃত্ব দেবার মতো নিজের সামর্থ্যটুকু না থাকলে মিছেমিছি প্রত্যাশা করে কোনো লাভ নেই।

করোনার মতো ভয়াবহ সংকট আর কোনদিন আসবে না-এমন কথা বলার শক্তি নেই। একেক শতাব্দীতে একেকটি সংকট পেছনের যে কোনো সংকটের চেয়ে ভয়াবহ হয়ে থাকে। তাই, ভবিষ্যতের যে কোনো সংকটে নেতৃত্ব দেবার জন্য সক্ষম করে তুলতে শিক্ষা ও শিক্ষকের পেছনে সবচে' বেশি অর্থনৈতিক বিনিয়োগ আজ সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবি। সেই দাবিটি পুরণে আমরা আজ অঙ্কীকারাবদ্ধ হই। এই লক্ষ্যে শিক্ষা জাতীয়করণ করে শিক্ষকের সত্যিকারের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই। সবটুকু একত্রে না পারলেও অন্তত মাধ্যমিক শিক্ষাস্তর অবিলম্বে জাতীয়করণ করে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষের অম্লান করে রাখার জন্য জাতির জনকের তনয়ার কাছে বিনীত নিবেদন করি। বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজকে সত্যিকারের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে  আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় ইতিহাসে অমর একটি আসনে অধিষ্ঠিত হবার সুযোগটি গ্রহণ করুণ। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এ দেশের শিক্ষক সমাজ সারা বছরের মতো আজো আপনার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।

লেখক : অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট।

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.008404016494751