বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বেসরকারি শিক্ষকের ফরিয়াদ - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বেসরকারি শিক্ষকের ফরিয়াদ

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

আজ ৫ অক্টোবর। বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আমার শিক্ষকদের কথা দিয়েই আজকের লেখাটা শুরু করতে চাই। তারা আমাকে মা বাবার স্নেহ-মমতা, আদর-সোহাগ ও শাসন দিয়ে আজকের অবস্থানে উঠে আসতে নিরন্তর সহযোগিতা করেছেন। তাদের কাছ থেকে শিক্ষক হবার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। শিক্ষকতা কোনো পেশা নয়। এটি এক মহান ব্রত। সে ধারণা আমি আমার শিক্ষকদের কাছ থেকে পেয়েছি। দীর্ঘ বত্রিশ বছরের শিক্ষকতা জীবনে আমি তাদের মতো একটি দিন কিংবা  মুহুর্ত ও শিক্ষকতা করতে পারিনি। আমার শিক্ষকেরা কত সম্মানীয় ছিলেন। তাদের নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ আজ পর্যন্ত আমাকে তাদের সামনে একেবারে ছোট শিশুটির মত করে বসিয়ে রাখে। প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় শিক্ষক যখন হাতে ধরে ধরে শ্লেটে পেন্সিল দিয়ে অ আ ই ঈ লেখা শেখাতেন তখন সে হাতকে এক স্বর্গীয় হাত বলে মনে হতো। জীবনে আজ পর্যন্ত এ রকম দ্বিতীয় আরেকটি হাতের ছোঁয়া পাইনি।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস সারা দুনিয়ার শিক্ষকদের একান্ত নিজস্ব একটি দিন। দিবসটি তাদের মর্যাদা ও সম্মানের প্রতীক। শিক্ষা ও শিক্ষকের দুর্দিন ঘুচানোর অঙিকারের দিন। শিক্ষকের মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করার দিন। বিশ্ব ও মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে শিক্ষকের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতির দিন। মানব শিশুকে এক পরিপুর্ণ মানব সত্বায় পরিণত করতে শিক্ষকের অগাধ পরিশ্রম ও সাধনার নির্মল স্বীকারোক্তির দিন। দিনটি তাই তাবত দুনিয়ার শিক্ষক সমাজের  গৌরব ও মর্যাদার। এ দিনে সারা দুনিয়ার শিক্ষকরা অন্য রকম মান মর্যাদার স্বাদ খুঁজে পান। শিক্ষকতার মত মহৎ কাজ দুনিয়ার বুকে নেই। সব শ্রেণি পেশার মানুষ থেকে ভিন্ন এক মহৎ ও মহানুভব আত্মা নিয়ে বিচরণ করেন শিক্ষক। শিক্ষকই একমাত্র ব্যক্তি যিনি অন্যের সন্তানকে নিজের মনে করে মানুষ করেন। তিল তিল করে বড় করে তোলেন। তার মাঝে নিজের স্বপ্ন, সাধ ও আকাংখা ফুটিয়ে তুলতে তৎপর হন। তার স্বপ্নকে অনেক বড় করে তুলেন। তাকে আকাশ সমান উচ্চতায় নিয়ে যান। নিজেকে নয়। পরকে নিয়েই তার সব ভাবনা। জাতি গঠনে উৎসর্গীকৃত প্রাণ। শিক্ষক তাই শিক্ষকই। তিনি আর অন্য কিছু নন। নিজের উদাহরণ একমাত্র নিজেই। এ পেশা স্বর্গীয়। পৃথিবীকে স্বর্গে রুপান্তর করার অদম্য এক মহৎ প্রয়াস।       

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দিনটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনার ভিন্ন অবকাশ থেকে যায়। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতক পেরিয়ে এসেও আমাদের শিক্ষা যেমন সব বাঁধা পেরিয়ে বিশ্ব মানে উন্নীত হতে পারেনি তেমনি শিক্ষক সমাজ বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষকদের দুর্দশা আজও সব দুঃখ-কষ্টকে ছাড়িয়ে যায়। মান মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থেকে শিক্ষকতা করা আজ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারিবারিক, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় সব জায়গায় শিক্ষক এখন অনেকটাই অপয়া। শিক্ষককে আজকাল অনেকে অবহেলার চোখে দেখে। মনে করে শিক্ষক আর এমনই কী ! ক'টাকাই বা বেতন পান ? টাকা কড়ির বিচারে শিক্ষককে মুল্যায়ন করে। অনেক বাবা-মা'র আজকাল কন্যা সন্তানকে শিক্ষক পাত্রের নিকট বিয়ে দিতে ও অপছন্দ। অনেকে চায় না বড় হয়ে তার সন্তান শিক্ষক হোক। এক কথা তাদের-শিক্ষকের ভবিষ্যত নেই। বেতন সামান্য। বাড়ি ভাড়া নগন্য। টাইমস্কেল ও ইনক্রিমেন্ট কোনটিই নেই। বৈশাখি ভাতা নেই। কেবলি অনেক 'নেই'-এর মাঝে বেসরকারি শিক্ষকের বসবাস।

                                     

আগেই বলেছি শিক্ষকতার মতো দ্বিতীয় কোনো মহৎ কাজ দুনিয়ার বুকে নেই। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষকের মর্যাদার স্থানটি এভাবে নির্দেশ করেন-'যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারেন। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক'। দার্শনিক মহামতি এ্যারিস্টটল বলেন-'যারা শিশুদের শিক্ষা দানে ব্রতী, তারা অভিভাবকদের থেকেও সম্মাননীয়। পিতামাতা তাদের জীবন দান করেন ঠিকই, শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন'। ধর্ম তত্ত্ববিদ উইলিয়াম এলারাবি চ্যানিং'র ভাষায়-'একটি শিশুকে শিক্ষিত করে তোলা একটি বড় কাজ এবং সঠিকভাবে বলতে গেলে একটি রাষ্ট্র শাসনের চেয়ে ও কঠিন কাজ'। 

সাংবাদিক এ্যান্ডি রণি শিক্ষকদের সম্পর্কে তার অভিমত এভাবে প্রকাশ করেন-'বেশির ভাগ লোককে ৫/৬ জনের বেশি মানুষ স্মরণ করে না । কিন্তু একজন শিক্ষককে হাজার হাজার মানুষ আজীবন স্মরণ করে'। 

বিশিষ্ট লেখক গাই কাওয়াসাকি শিক্ষকদের সম্মান জানিয়ে বলেন-'আপনি যদি কাউকে পছন্দের তালিকায় রাখতে চান, তাহলে শিক্ষকদের রাখুন। তারা সমাজের নায়ক'।এ প্রসঙ্গে সুইস মনোবিজ্ঞানী কার্লজং-এর উদ্ধৃতিটি দিয়ে প্রসঙটির ইতি টানতে চাই । তিনি বলেন-' ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষকদের প্রতি মানুষ সম্মানের দৃষ্টিতে তাকায় । কিন্তু কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকায় তাদের প্রতি , যারা আমাদের মানবিক অনুভুতিকে স্পর্শ করে । পাঠক্রমটি নিতান্তই প্রয়োজনীয় কাঁচামাল । কিন্তু আন্তরিকতা একটি ক্রমবর্ধমান উদ্ভিদ এবং একটি শিশুর আত্মার জন্য আরো বেশি গুরুত্বপুর্ণ উপাদান'।

 এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য- 'শিক্ষার অধিকার অর্থ একজন যোগ্য শিক্ষকের অধিকার'। গত বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল-'স্বাধীন ভাবে পাঠ দান, শিক্ষক হবেন ক্ষমতাবান'। এর আগের বছরের প্রতিপাদ্য-'শিক্ষকের মুল্যায়ন, মর্যাদার উন্নয়ন'। এভাবে চমৎকার ও হৃদয়গ্রাহ্য একেকটি প্রতিপাদ্য বা শ্লোগান দিয়ে যে কোনো দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলা হয়। তেমনি বিশ্ব শিক্ষক দিবসেরও। এখানে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের পরপর তিন বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় উল্লেখ করে দিবসটির মাহাত্ম্য প্রকাশের প্রয়াস চালিয়েছি মাত্র। 

এবার দিবসটির প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু দৃষ্টিপাত করা যাক। ইউনেস্কো ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের সুচনা করলে ও মুলতঃ ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস শুরু হয়। বিশ্ব বিখ্যাত দার্শনিক কনফুসিয়াসের জন্ম দিনকে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মর্যাদা দেয়া হয় এ কারণে যে জীবনের প্রথমে শিক্ষকতাকেই তিনি ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কনফুসিয়াসের জন্ম খ্রিস্টের জন্মের পাঁচশ' বছর আগে। দেশে বিদেশে 'শিক্ষক' পেশাজীবিদের সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর জন্য বরেণ্য এ দার্শনিকের জন্মের দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে বেছে নেয়াই সমীচিন বলে ইউনেস্কো মনে করেছে। এখন বিশ্বের ১০০ টির ও বেশি দেশে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে  Education International-(EI) এবং এর ৪০১ টি সহযোগী সংগঠন মুল ভুমিকা পালন করে থাকে। EI প্রতি বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দেয় ।                   

বিশ্ব শিক্ষক দিবসের এ শুভক্ষণে দুনিয়ার সব শিক্ষকদের বিনম্র শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা আর নিরন্তর ভালবাসা জানাই। আমার জীবনে যেসব শিক্ষকের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম তাদের অনেকে বেঁচে নেই। আবার কেউ কেউ বেঁচে আছেন। তাদের মত শিক্ষক এখন আমি খুব কমই খুঁজে পাই। তাদের কাছে যেমন আদর পেয়েছি তেমনি তারা শাসন ও করেছেন। শিক্ষককে শ্রদ্ধা ও ভয়  দু'টোই করেছি। আমি ছনের চালা ঘরের প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করেছি। স্কুল মাঠের পুর্ব কোণে একটা বড় আম গাছ ছিল। এর নিচে দল বেঁধে জোরে জোরে সংখ্যার নাম ও নামতা শিখতাম। আমার যে শিক্ষক সেদিন এসব শিখিয়েছিলেন আজ ও তিনি আমার কাছে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। আজ অনেক বছর হয় আমার সে শিক্ষক বেঁচে নেই। কিন্তু আমার হৃদয় জুড়ে তিনি আজীবন বেঁচে আছেন। বেঁচে থাকবেন। আমার যে সব শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আজ ও বেঁচে আছেন তারা যেন যুগ যুগান্তর বেঁচে থাকেন-করুণাময় স্রষ্টার কাছে আজ আমার এটুকুই নিবেদন।                                     

মুলতঃ যে কোনো মানুষের জীবনে একজন যোগ্য শিক্ষকের অসীম প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কেবল দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকই পারেন তার ছাত্রটির মাঝে যথাযথ মনন, বুদ্ধি ও চিন্তাকে বাস্তবরুপে প্রতিফলিত করতে। শিক্ষকরাই আগামী জীবনযাত্রায় প্রতিটি উপযুক্ত জীবিকা ও সৎ নাগরিক তথা মানুষ গড়ার কারিগর। একজন যোগ্য শিক্ষকের সাহচর্য কতো যে অপরিহার্য তা একটি জাপানি প্রবাদ থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রবাদটির ইংরেজি এরকম- 'Better than a thousand days of diligent study is one day with a great teacher'.                             

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে ব্রতচারী শিক্ষক খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আমাদের শিক্ষায় এখন দুর্দিন। এক কথায় দুঃসময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতার বাছ বিচার একেবারে কম। রাজনৈতিক পরিচয়টাই মুল যোগ্যতা। গবেষণা ও থিসিসের বালাই নেই। অনেক জায়গায় ভিসি পর্যন্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়ে থাকেন। শিক্ষকরা লাল-নীল ও সবুজ দলে বিভক্ত হয়ে পড়লে পড়ালেখার পরিবেশ থাকে কোথায় ? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সে দশায় পেয়ে বসেছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছে। বিপনী বিতানে শহরের অলিতে গলিতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত বুদ্ধির চর্চা কোথায় হবে ? মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় টেনে আনার রাষ্ট্রীয় কোনো উদ্যোগ নেই। তাহলে এ কাজটি কে করবে ? ইদানীং শিক্ষকদের নানা দুর্ণামে পেয়ে বসেছে । বিদেশে পড়তে গিয়ে ফিরে না আসা, নোট- গাইড-কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর বদনাম, শিক্ষার্থী নীপিড়ন, প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি নানা বদনাম শিক্ষকদের পিছু ছাড়ে না। দায়িত্বশীলতা আর দেশপ্রেম হেরে গেলে কেবল নামে শিক্ষক হয়ে তো লাভ নেই। শিক্ষক কমিটেড না হলে জাতি উপকৃত হয় না।                                           

শিক্ষক হবার জন্যে এখন আবার অনেকে তেমন আগ্রহ দেখায় না। অন্ততঃ আমাদের দেশে এ এক নিরেট সত্যি কথা। আজকাল অনেকে দায় পড়ে শিক্ষকতায় আসেন। জর্জ বার্নার্ড শ' যেমন তার এক শিক্ষক বন্ধুকে একদিন উপহাস করে বলেছিলেন-' One who can does , who can't teaches'.আমাদের ও যেনো হয়েছে তাই।  হবে না কেনো ? আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সাতানব্বই শতাংশ শিক্ষকের পরিচয় 'বেসরকারি শিক্ষক' বলে। সরকারি-বেসরকারি বিভাজন আমাদের শিক্ষার জন্য মঙল তো নয়ই বরং অমঙলই নিত্য ডেকে আনে। সে আমাদের কারো কাম্য হওয়া উচিত নয়। কি সমাজে কি রাষ্ট্রে  কোথাও শিক্ষকের মুল্যায়ন নেই। রাষ্ট্রীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ একেবারে নগন্য। শিক্ষা ও শিক্ষক না বাঁচলে দেশ বাঁচে না-সে ভাবনা আমাদের নেই। 

আমাদের প্রতিবেশী কয়টি দেশের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ থেকে এ ক্ষেত্রে আমাদের উদাসীনতা ফুটে উঠে। মালয়েশিয়া শিক্ষা খাতে তাদের জিডিপি'র ৬ দশমিক ২০ শতাংশ ব্যয় করে। মালদ্বীপ ৮ শতাংশ আর শ্রীলংকা ব্যয় করে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। এ জায়গায় ভারত ৩ দশমিক ২০ শতাংশ আর বাংলাদেশ মাত্র ২দশমিক ৭০ শতাংশ। বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে দেশের বেসরকারি শিক্ষকদের বঞ্চনা সব মানুষকেই ব্যথিত করে। তাদের ন্যায় সঙ্গত দাবি দাওয়ার প্রতি সকলের সহমর্মিতা দরকার। জীবন মান বাঁচানোর মতো বেতন না পেলে তাদের মর্যাদা সমুন্নত থাকে কী করে ? যৌক্তিক বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা না দিলে এ সব শিক্ষক কোথায় মাথা গুঁজবেন আর রোগে শোকে কার কাছে যাবেন ?  উৎসবে আনন্দে তাদের বিমর্ষ হৃদয় ও মলিন মুখ সবার যেন কষ্টের কারণ হয়। বাংলা নববর্ষটি বাংলা ভাষাভাষী সব শিক্ষকের একান্তই নিজের হওয়া দরকার। এখানে তো কেউ বাঙালি আর কেউ অবাঙালি নয়। সকলেই বাঙালি শিক্ষক। সব স্কুল-কলেজ একত্রে জাতীয়করণ করে সকল শিক্ষকের মর্যাদা সমুন্নত করা হোক। তবেই বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন যথার্থ হবে। অন্যথায় আর ভিন্ন কোনো কিছুতে নয়।         

 

লেখক: অধ্যক্ষ, চরিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, কানাইঘাট, সিলেট ও দৈনিক শিক্ষার নিজস্ব সংবাদ বিশ্লেষক।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038361549377441