বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষক সমাজের বঞ্চনা ও প্রত্যাশা - Dainikshiksha

বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষক সমাজের বঞ্চনা ও প্রত্যাশা

মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন |

৫ অক্টোবর 'বিশ্ব শিক্ষক দিবস'। দিবসটি সামনে রেখে আমাদের দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান সংকট এবং সংকট থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দু' একটি কথা সংক্ষেপে বলার প্রয়োজন বলে মনে করি। 

সবাই বলে' শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, 'আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ পবিত্র কোরআন পাকের প্রথম অবতীর্ণ আয়াত হচ্ছে 'ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযি খালাক, অর্থাৎ পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃ্ষ্টি করেছেন।দিল্লির বাদশাহ আলমগির তাঁর ছেলে নিজ হাতে শিক্ষকের পা ধৌত করে দেয়নি বলে তাঁর ছেলের শিক্ষকের ওপর রাগ করেছিলেন। ইংল্যান্ডে এ একজন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ওই এলাকার কিংস অব হিজ কিংডম' বা ওই এলাকার সর্বেসর্বা বলা হয় এবং তাঁর অনুমতি ছাড়া এলাকার কাউকেই গ্রেফতার করা যায় না। পৃথিবীর অনেক দেশে শিক্ষকের গাড়ি দেখলে তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়ে মন্ত্রীর গাড়িও থামিয়ে রেখে শিক্ষকের গাড়িকে আগে যেতে দেয়া  হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন শিক্ষককে উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করতে ছেলেকে বিশেষ আদেশ দিয়েছিলেন। এইতো সেদিন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি আক্তারুজ্জামান তাঁর শিক্ষককে পা ছুঁয়ে সালাম করে শিক্ষকের মর্যাদাকে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করার নজির স্থাপন করেন।
উপর্যুক্ত উক্তিগুলো ও ঘটনা থেকে মানবজীবনে শিক্ষার গুরুত্ব ও জাতিগঠনে শিক্ষকের অপরিসীম ভূমিকার কথাই আমাদের মনে করিয়ে দেয়। তবে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় কলেজের শিক্ষকগণই বেতন ও মর্যাদার দিক দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশ তো বটেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়েও অনেক পিছিয়ে রয়েছেন।বর্তমানে এদেশের শিক্ষাখাতে বিরাজমান সমস্যাগুলো নিম্নরূপঃ 
                          

সদ্য সরকারিকৃত কলেজ সমূহের  শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে

অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে উপজেলাভিত্তিক এক সঙ্গে ৬০০টির মতো স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণ করেছেন। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সারাদেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানের আমূল পরিবর্তন হবে বলে দেশবাসী আশা করেন। তবে ২৯০টি কলেজ সরকারি হওয়ার পর পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে যে, সারাদেশের নতুন সরকারিকৃত বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষগণ কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ননএমপিও ও অনার্সের শিক্ষকদের বেতনভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকী তাঁরা কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকেই কলেজ থেকে কোন বেতন, বোনাস দেওয়া যাবে না বলে সাধারণ শিক্ষকদের কাছে অভিমত প্রকাশ করেছেন এবং অনেক উপজেলার ইউএনও এবং জেলার ডিসি মহোদয়গণ ও ননএমপিও শিক্ষকদের বেতনভাতার ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ও ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা আগের মতো বহাল রাখার জন্য সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ সচিবালয় ও ডিজিতে  মাননীয় শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন,অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল ও উপসচিব শহিদুল ইসলামসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং এ সময় তাঁরা সদ্য সরকারিকৃত কলেজসমূহের ননএমপিও শিক্ষকদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের বলা হয়, সদ্য সরকারিকৃত এসব কলেজের ননএমপিও শিক্ষকদের বেতনভাতা সহ সার্বিক বিষয়াদি বেসরকারি আমলের মতোই অধ্যক্ষ মহোদয় ও জেলা প্রশাসক মহোদয় বা ইউএনও’র যৌথ স্বাক্ষর দ্বারা পরিচালিত হবে এবং যতদিন পর্যন্ত এসব কলেজের শিক্ষকগণ আত্তীকৃত না হবেন ও সরকারি বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না পাবেন ততোদিন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনভাতা বেসরকারি আমলের মতোই বহাল থাকবে।

গত ২ অক্টোবর শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাতেও মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এর পক্ষে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।  ননএমপিও শিক্ষকদর বেতনভাতা অব্যাহত রাখতে শিক্ষকনেতারা মন্ত্রণালয়ের লিখিত আদেশ বা পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা চাইলে উত্তরে সেখান থেকে তাঁদের বলা হয়, যেহেতু ননএমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে কোন লিখিত নির্দেশনা কলেজগুলোতে পাঠানো হয়নি, সেহেতু এসব শিক্ষকদের বেতনভাতা  চালু রাখার জন্য আলাদা কোন নির্দেশনা বা পরিপত্রের প্রয়োজন নেই। ননএমপিও ও অনার্সের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। সরকারি হওয়ার পর তারা কলেজ থেকে যে ন্যূনতম আর্থিক সুবিধা পেতেন তা যদি বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কীভাবে দিনাতিপাত করবেন? তাই সরকারি বেতন থেকে কর্তন করে নেয়ার শর্ত হলেও এ সকল শিক্ষকদের কলেজ থেকে দেয়া ন্যূনতম আর্থিক সুবিধা অব্যাহত রাখা জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করেন। যেহেতু সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা মোটামুটি সন্তোষজনক বেতন ভাতা পেলেও সদ্য সরকারিকৃত  কলেজের ননএমপিওসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ এখনো কোন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেননি। তাই তাঁদের বেসরকারি আমলের বেতন ভাতা কর্তনের শর্তে হলেও আত্তীকৃত হবার আগ পর্যন্ত চালু রাখার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলেও বিবেচনার দাবি রাখে।
                        
বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানরত শিক্ষকদের সমস্যাসমূহ

বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স কোর্সে  পাঠদানরত শিক্ষকেরাও উপযুক্ত বেতনভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার অভাবে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন।১৯৮২ সালে প্রণীত জনবল কাঠামোয় এইচএসসি পর্যায়ে একজন ও ডিগ্রি পর্যায়ে একজন শিক্ষকের এমপিওভুক্তির বিধান করা হলেও ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করে সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগবিধি মোতাবেক সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে উচ্চশিক্ষার দ্বার বিস্তৃত করা হয়। বলা চলে, এটি নগরজীবনের বাইরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন সূচিত করে। পাশাপাশি সাত হাজার শিক্ষককে(বর্তমানে ২৯০ টি কলেজ সরকারিকরণের  পর তা কমে এসেছে) এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত রাখা হয়, যা তাঁদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। অথচ বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় তিন লক্ষাধিক এবং বর্তমানে অনার্স মাস্টার্স পাঠদানকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৯৩টি। এসব কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাসে ৫০০ টাকা হারে বছরে ২০০ কোটি টাকার মতো আদায় করে। বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের পেছনে বছরে সাকুল্যে ৪২ কোটি টাকার মতো খরচ হয়। প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যতিক্রম বাদে তিন হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত এ সব শিক্ষককে নামমাত্র মাসিক বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।

একজন রিকশাচালক বা দিনমজুর বা সরকারি ঝাড়ুদার এর থেকেও তাঁদের কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে কর্মরত প্রায় ৩০০০ হাজার শিক্ষককে মাসে ২২ হাজার টাকা স্কেলে বেতন দিলে বছরে ৮০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে। কিন্তু সরকার বা কলেজ কর্তৃপক্ষ তা না করে তাদের একটা অনিশ্চিত অমানবিক ন্যায়বিচারহীন মানবেতর জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা পদমর্যাদায় অন্য শিক্ষকের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করলেও তাঁরা মাসিক কোনো সরকারি বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাপাচ্ছেনা । তাঁরা সরকারের কাছে এমপিওভুক্তির জন্য দীর্ঘকাল এযাবৎ উচ্চমহলে আবেদন-নিবেদন জানিয়ে আসছেন।

দীর্ঘ ছাব্বিশ বছরের বঞ্চনার এই দাবি আদায়ে শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় সভা, সমাবেশ, মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ সবশেষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। শিক্ষকদের দায়ের করা রিট পিটিশন নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট বিভাগ হতে এমপিওভুক্তি প্রদানের আদেশ দেন। যার মধ্যে একটি রিটে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল করার সুযোগ নেই মর্মে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি করতে আদেশ প্রদান করেন । কিন্তু সরকার পক্ষ অন্য দুটি রিটে আপিল করেন। আমার মতে নিম্নোক্ত যৌক্তিক কারণে বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স শ্রেণিতে পাঠদানরত শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবিদার।

  

ডিগ্রির ৩য় শিক্ষকদের বঞ্চনার ইতিহাস

উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও শিক্ষাকে সার্বজনীন করার লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদনক্রমে ১৯৯৩ সাল থেকে বেসরকারি কলেজগুলোতে ডিগ্রি কোর্স অধিভুক্তির শর্ত হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ডিগ্রিস্তরের ৩য় শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে। বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এইসব শিক্ষককে ১৯৯৫,২০১০ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের  জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে তাদের এমপিওভুক্তও করা হচ্ছে না।

একই প্রতিষ্ঠানে একই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কর্মরত থেকে যদি ২০১০ এর পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৩৫ জন ৩য় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা যায় তাহলে এই ৪৩৫ জন ৩য় শিক্ষকগণ সহ সদ্য সরকারিকরণের আওতায় আসা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এম্পিওভুক্তির সুযোগ পাওয়া  অন্যান্য ৩য়  শিক্ষকদের বাদ দিলে বর্তমানে সারাদেশের অবশিষ্ট মাত্র ৩০০জনের মতো  ডিগ্রির ৩য় শিক্ষককে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা না করে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বেতনভাতার সরকারি অংশ (এমপিও সুবিধা) থেকে বঞ্চিত রাখার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করিনা।এটি নিঃসন্দেহে মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের লঙ্ঘনের শামিল এবং সাংবিধানিক চিন্তা -চেতনার পরিপন্থী। এমপিও বঞ্চিত বাকী  ৩য় শিক্ষকেরা এক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে  আইনের আশ্রয় নিলে রায় তাদের পক্ষে আসাই স্বাভাবিক।
                      

এ অবস্থায় শিক্ষকদের উপর্যুক্ত দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে দেশের শিক্ষাখাতে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে  বঞ্চিত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

লেখকঃ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক(সদস্য সচিব). জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক পরিষদ-জাকশিপ

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013492107391357