দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের কোচ গিবসন। তিনি জানালেন বিশ্বকাপের অনেক সমীকরণ পাল্টে দেবে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া!
প্রশ্ন : একদম প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ড দলটাকে তো আপনি বেশ কাছ থেকে দেখেছেন, প্রথম ম্যাচকে ঘিরে কী ভাবনা কাজ করছে? শুক্রবার (১৭ মে) দৈনিক কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ওটিস গিবসন : ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলাটা বেশ মজার হতে পারে! তবে সব কিছু অনেকটাই নির্ভর করছে আবহাওয়া কেমন থাকে তার ওপর। ইংল্যান্ড এখন হাই-স্কোরিং ম্যাচ বেশি খেলতে পছন্দ করে। তবে আবহাওয়া এ ক্ষেত্রে বড় একটা ভূমিকা পালন করবে এবং এই বিশ্বকাপের গতি-প্রকৃতি ঠিক করে দেবে। আমি ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে দুই মেয়াদে কাজ করেছি, এখনো ইংল্যান্ডেই থাকি। তারাই তো ফেভারিট, তাই না? বছর কয়েক আগে জেমস অ্যান্ডারসন বলেছিল, বিশ্বকাপ না জেতার জন্য তাদের ভয়ংকর কোনো ভুল করতে হবে! সেটা তাদের জন্য ভালো।
প্রশ্ন : ইংল্যান্ড দলে জোফ্রা আর্চারকে নেওয়া হলে কি শক্তি বাড়বে?
গিবসন : সময়টা ভালো যাচ্ছে ওদের। সে (আর্চার) আমার দেশের মানুষ, বার্বাডোজের মানুষ। তাকে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে হলেও বিশ্বকাপে দেখতে পেলে খুবই ভালো লাগবে।
প্রশ্ন : ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ মানেই তো সেই ভয়াবহ ভুলে ভরা ১ রান! সেই দুঃসহ স্মৃতি কি মনে পড়বে?
গিবসন : আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রকাশ্যে দলের অতীত ব্যর্থতা নিয়ে কোনো আলাপ হবে না। একটা দল জিতবে, একটা দল হারবে। সব শেষে সবই এসে চাপে সাংবাদিকদের ঘাড়ে! যখন আমরা শেষ বলে জিতি, তখন তো প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব একটা কথা হয় না। অথচ যখনই আমরা শেষ বলে হারি, তখনই আমাদের নিয়ে কথা শুরু হয়ে যায়।
প্রশ্ন : দলে দুজন স্পিনার, তাব্রিজ শামসি আর ইমরান তাহির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দলে দুই স্পিনারের জায়গা পাওয়াটা কি একটু ব্যতিক্রমধর্মী নয়?
গিবসন : আমরা দুজন স্পিনারকে এ জন্য নিয়েছি, যাতে কোনো একটা সময় দুজনকেই একসঙ্গে খেলাতে পারি। টুর্নামেন্টা ছয় থেকে সাত সপ্তাহ লম্বা। কোনো একটা দিনের আলোর ম্যাচে, ব্যবহৃত উইকেটে দুজন স্পিনারকে খেলানোটা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
প্রশ্ন : ডেল স্টেইন ও কাগিসো রাবাদা কি বিশ্বকাপের আগেই ফিট হয়ে উঠতে পারবেন?
গিবসন : কেজি-কে (রাবাদা) নিয়ে কিছু দুশ্চিন্তা আছে, স্টেইনকে নিয়েও কিছু ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আমি মনে করি দুজনেই সেরে ওঠার রাস্তায় ঠিক পথেই আছে।