গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে পাঁচজনকে শুক্রবার দিবাগত রাতে এবং দুইজনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চুরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেরি গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল শরীফের ছেলে মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ (২৩), হোটেলে ক্রিস্টাল ইনের ম্যানেজার কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ইদ্রাকচরের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫), হোটেল ক্রিস্টাল ইনের কর্মী ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার চোরখাই গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির (২৪), গোপালগঞ্জের বরফা শেখপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন শেখের ছেলে আ. রহমান সৌরভ শেখ (১৯), বরফা মধ্যপাড়ার আইয়ুব শেখের ছেলে রহমান ওরফে শান্ত ওরফে কাকন (১৯), কামাল পাশা মিয়ার ছেলে নাইম উদ্দিন (১৯) ও মাদারীপুরের রাজৈরের সালাম হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাসান (১৯)।
গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান বলেন, দুলাল এবং হুমায়ুন কবির ব্যতীত বাকি পাঁচজনকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা চুরির ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত। এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হোটেল ক্রিস্টাল ইনের তিনজন মালিকের একজন যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফ বর্তমানে পলাতক। খুব শিগগিরই আমরা তাকেও আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।
এদিকে, চুরির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের জড়িত থাকার বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী জড়িত থাকার বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। আসার পর সবকিছু বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। পরবর্তীতে ১৩ আগস্ট রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান রাজধানীর বনানীর হোটেল ক্রিস্টাল ইন থেকে ৩৪টি কম্পিউটারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ।