পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে নিজের অবস্থান চিহ্নিত করতে পেরেছিল। একই সঙ্গে গৌরবজনক প্রতিবাদী আন্দোলনের চারণভূমি হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবশ্য তখন পরিপ্রেক্ষিতও ছিল আলাদা।
স্বাধীন পাকিস্তানে পরাধীন হয়ে পড়েছিল বাঙালি। তাই মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ-ভাবনাকে মনে জায়গা দেয়নি। দেশাত্মবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধিকার আন্দোলনে। আইয়ুব খান এনএসএফ তৈরি করে এই সুন্দর পরিমণ্ডলকে বিষাক্ত করতে চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) যুগান্তরে পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধনটি লিখেছেন এ কে এম শাহনাওয়াজ।
রক্তক্ষরণ হয়েছে, কিন্তু সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সুবিধাবাদের বীজ বপন করে বৈপ্লবিক চেতনাকে নিবীর্য করে দিতে পারেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আইয়ুব খানের আরাধ্য কাজ সুচারুভাবে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখল স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতাপিয়াসী রাজনৈতিক দলগুলো।
স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বৈপ্লবিক আন্দোলনের প্রয়োজন অনেকটা ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সচেতন মানুষগুলোর নির্মোহ রাজনৈতিক চেতনা হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়।
শিক্ষার অধিকার, সামাজিক অধিকার, সুস্থ রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ- সব ক্ষেত্রে আন্দোলনের সমন্বিত ভূমিকা রাখার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের। একমাত্র নব্বইয়ের গণআন্দোলন ছাড়া স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভুবন তেমন কোনো আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করতে পারেনি।
রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে মোহগ্রস্ত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বেড়েছে। দলীয় সুবিধাবাদ প্রতিষ্ঠায় এসব দলের ক্রীড়নকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোহমুক্ত ঐক্যবদ্ধ শক্তির সম্ভাবনার জায়গাটিকে ভেঙেচুরে লণ্ডভণ্ড করে দেয়। দলীয় রাজনীতির আস্তাবল বানাতে থাকে।
কিন্তু মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্রকে এভাবে দলিত-মথিত করা কঠিন। মোহগ্রস্ত করে ছাত্র-শিক্ষকদের একটি ছোট অংশকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্যাম্পাসে তাদের লেজুড় সংগঠন (এখন অবশ্য আত্মসম্মান রক্ষার্থে লেজ কেটে সহযোগী সংগঠন বলা হয়) পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এসব সংগঠনের ক্ষমতার উত্থান-পতন ঘটতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই মূল দলের ইঙ্গিতে ছাত্র সংগঠনের ছাত্ররা উন্মত্ত আচরণ করতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার কল্যাণ চিন্তার বদলে মূল দলের নির্দেশ পালনেই ব্যস্ত থাকে।
পাশাপাশি নিজেদের লোভ ও ক্ষমতা প্রকাশের জন্য মাঝে মাঝেই তাণ্ডব চালায়। এ আসুরিক পরিবেশে নিজেদের গুটিয়ে নেয় মেধাবী মুক্তচিন্তার শিক্ষার্থীরা। সংখ্যায় সিংহভাগ হলেও এরা একাকী হয়ে যায়। বলা যায়, নিবীর্যও হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রক্ষমতার রেসে ছোটা রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের (নাকি সহযোগী?) শিক্ষকরা দলীয় সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনার কেউকেটা হওয়াটাই নিজেদের প্রথম মোক্ষ হিসেবে মেনে নেন। ব্যতিক্রম দু-চারজন বাদ দিলে রাজনীতিসংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাওয়া-পাওয়ার জগৎটি খুব বড় নয়। তবুও একটি নেশার মধ্যে আটকে থাকেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ভিসি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হওয়া। অর্থাৎ সিনেট-সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়া, ডিন-প্রক্টর-প্রভোস্টসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করা।
যাদের অতটুকু যোগ্যতা নেই, তারা তল্পিবহন করে একাডেমিক যোগ্যতার ঘাটতি মুছে দিয়ে এ পথে পেশা জীবনে উত্থানের সিঁড়ি ডিঙাতে চান। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় বিধিগুলোও প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
একই সঙ্গে যার যার কেন্দ্রীয় দলের লক্ষ্য পূরণে শিক্ষক রাজনীতিকদের একটি ছোট অংশ ভূমিকা রাখেন। দীর্ঘদিন নির্বিবাদে এ সংস্কৃতি সচল থাকায় বিষয়টি স্বাভাবিক আচরণ হিসেবে মেনে নিয়েছেন সবাই।
নষ্ট রাজনীতি ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগে মেধাবী ছাত্রদের মূল্য ক্রমে কমে যাচ্ছে। রাজনৈতিক এবং কখনও কখনও অর্থনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাচ্ছে।
ফলে এই ঘরানার শিক্ষকরা ক্লাসে যাওয়ার বদলে দলীয় ফোরামে সময় দিতেই বেশি পছন্দ করেন। প্রমোশনের বেলায় যেহেতু দলীয় আশ্রয় কাজে লাগে, তাই লেখাপড়া আর গবেষণায় অযথা সময় নষ্ট করার বোকামি অনেকে করেন না।
তবে এ কথাও ঠিক, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক মানের অধোগতির জন্য আরও অনেক কারণ সক্রিয়। এসবের মূল্যায়ন ছাড়া পুরো চিত্রটি স্পষ্ট করা সম্ভব নয়। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক অনেক রয়েছেন।
তাদের জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃজনের আগ্রহ ও ক্ষমতা দুই-ই আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে কাম্য সহযোগিতা পান না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া নির্ভর করে সে প্রতিষ্ঠান গবেষণা কর্মে কতটা এগিয়ে আছে, তা মূল্যায়নের ওপর।
ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ২০১৪ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে যে চিত্র পেয়েছি, আমরা জানি এর পেছনে অনুঘটক অনেকটাই শিক্ষক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগের প্রভাব।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪-তে দেশের ৩৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ছিল ১২ হাজার ৪৮ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৯৫ জন অধ্যাপক, ১ হাজার ৯৯৮ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৩ হাজার ৬৬৮ জন সহকারী অধ্যাপক আর প্রভাষক ২ হাজার ৮৩০ জন।
এদের মধ্যে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে ৫ হাজার ১৯১ জনের। অর্থাৎ মোট শিক্ষকের ৫৭ শতাংশের এ ধরনের গবেষণা সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি নেই। ইউজিসির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে গবেষণা প্রধান বিষয় হলেও তা নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
যদিও শিক্ষকদের পদোন্নতির নীতিমালায় গবেষণাকে প্রাধান্য দেয়া হয়; কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় এর আর খুব প্রয়োজন পড়ে না আজকাল। এরপর এ ধারার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে কি না, আমার জানা নেই।
স্বীকার করছি, ব্যক্তিগত অনাগ্রহের কারণে আর খোঁজ নেইনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে করুণ দশা দেখে অনুমান করা যায়, ভূতের পা নিয়েই হয়তো চলছে উচ্চশিক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য প্রণোদনাও খুব সীমিত। প্রতিবছর বিভিন্ন অনুষদে শিক্ষকদের গবেষণার জন্য একটি অর্থ বরাদ্দ থাকে। এর পরিমাণ এতই সীমিত যে, ও দিয়ে গবেষণার ভূমিকা পর্বটুকুতে হয়তো যাওয়া সম্ভব।
যারা এখন গবেষণা করছেন, বলা যায় নিজ চেষ্টায় এবং নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে। আমি আমার দীর্ঘ শিক্ষক জীবনে একবারই মাত্র অনুষদের গবেষণা প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে গবেষণা করেছিলাম। এতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে আর সে পথ মাড়াইনি।
এটি প্রায় দেড় যুগ আগের কথা। শরীয়তপুর জেলার জেলা সদরে মনসাবাড়ি বলে একটি প্রত্ন অঞ্চলের সন্ধান পেয়েছিলাম। এই বাড়িতে ধ্বংসপ্রায় মধ্যযুগের চারটি মন্দির ও একটি ধ্বংসপ্রায় দ্বিতল ইমারত ছিল। বাড়িটি ঘিরে নানা কিংবদন্তি ছড়িয়ে থাকলেও কোনো লিখিত প্রমাণ ছিল না।
আমি অনুষদের এক বছরের প্রকল্পের অধীন প্রায় দেড় বছর কাজ করে বাড়িটির একটি ইতিহাস তৈরি করি। এতে আমার সবকিছু মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছিল। প্রকল্প থেকে আমাকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল মাত্র ১২ হাজার টাকা।
আবার বিধানমতে, এই ১২ হাজার টাকার নানা হিসাবনিকাশ জমা দেয়ার নিয়ম ছিল। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নেই, এই বেলতলায় আর যাব না। আমি না হয় যেভাবেই হোক কাজটি সম্পন্ন করেছিলাম; কিন্তু সবার সেই সামর্থ্য নাও থাকতে পারে।
এখন এই বরাদ্দ অনেকটা বেড়েছে। তবে জীবনযাত্রা ও গবেষণার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে মেলালে সেই ১২ হাজার টাকার সুবিধাই পাওয়া যাবে। এখনও অনেক মাঠপর্যায়ের জরুরি গবেষণার কথা ভাবি, যা সফল করতে হলে বড় ধরনের অর্থ সহায়তা প্রয়োজন।
এর সংস্থান না থাকায় পিছিয়ে আসতে হয়। শুনেছি, সরকারের মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য প্রকল্প বরাদ্দ করা হয়। অগ্রিম ভীতির কারণে সে পথ মাড়াইনি কখনও। সেখানে নাকি প্রকল্প পাস করা, অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য নানা ঝক্কি পোহাতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষক তারা সাধারণত এসব আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পছন্দ করেন না। শোনা যায় এসব বরাদ্দ পেতে নাকি কোনো কোনো ঘাট তুষ্ট করতে হয়। এ ধরনের বিশাল বিশাল বাজেটের প্রকল্প কোনো কোনো সহকর্মীকে পেতেও দেখি এবং আমরা বিস্মিত হই।
তাদের অনেককে আমরা যেভাবে চিনি তাতে গবেষণা সংশ্লিষ্ট না হলেও এসব প্রকল্প আদায়ে তারা যোগ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বশীল শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে তাদের তেমন পরিচিতি না থাকলেও মন্ত্রণালয়ের অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকে।
এসব গবেষণার ফলাফল শেষ পর্যন্ত খুব একটা প্রকাশ্যে আসে না। এই ধারার গবেষণা নিয়ে যদি কখনও তদন্ত হতো, তা হলে বড় রকমের একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো আমাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ন্যূনতম চাহিদা কি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূরণ করতে পারে? শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অবকাঠামোগত সংকট প্রচণ্ড। ক্লাসরুমের সংখ্যা ও আয়তন ভীষণ অপর্যাপ্ত। শ্রেণিকক্ষে প্রয়োজনীয়সংখ্যক বৈদ্যুতিক পাখাও থাকে না।
যাও বা থাকে, বাজেট স্বল্পতা ও চৌর্যবৃত্তির কারণে তা ব্যবহার করাও কঠিন। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলব। নতুন কলাভবনে ক্লাস শুরু করার সময়ে ছাত্রছাত্রীরা আগেই ফ্যানের সুইচ বন্ধ করে দেয়। ফ্যানের গড়গড় চিৎকারে বক্তৃতা শোনা যাবে না।
খাতা দিয়ে গায়ে বাতাস করে করে ক্লাস শুনতে হয়। আমি মাঝে মাঝে মজা করে বলি- আর ক’বছর কষ্ট করো। পাস করে বিসিএস দিয়ে যখন সরকারি কর্মকর্তা হবে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকা পিএটিসিতে আসবে ট্রেনিংয়ের জন্য। তখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুদৃশ্য ক্লাসরুম পেয়ে যাবে।
বর্তমানে কোনো কোনো বিভাগ ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়ন ফি এবং সাবেক কোনো কোনো শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় এক দুটো ক্লাসরুমে এসি লাগিয়েছে। তাতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিরুপায় হয়ে অনুরোধ আসে এভাবে এসি না লাগাতে।
কারণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ভার বহন করতে পারবে না। এসব বাস্তবতা দেখে নানা ভাবনা আমাদের গ্রাস করে। আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞান বিতরণ, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির কেন্দ্র হিসেবে দেখতে চাই, তা হলে নানামুখী সংকট শনাক্ত করে এর প্রতিবিধান জরুরি।
ন্যূনতম সুবিধা না দিয়ে তপোবন পেয়ে যাব, তা হতে পারে না। আর একই সঙ্গে এই সত্যটিও বিবেচনায় রাখতে হবে, যেহেতু রাজনৈতিক বিবেচনায় আজকাল অনেকে শিক্ষক হয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন; তাই শিক্ষক হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না- এ জন্য জবাবদিহিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মুখে মুখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে বৈশ্বিক মান আশা করা অন্যায় হবে।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়