হল খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম সচলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেছেন, আমরা কখনও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে চাইনি। কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত করেছেন। এক পর্যায়ে তারা আমার বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, এমন খারাপ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কাছে হল খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম সচলের দাবিতে আবেদন নিয়ে যায় প্রায় অর্ধশত সাধারণ শিক্ষার্থী। এ সময় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, তোমাদের আবেদন আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব। কিন্তু এর আগে আমাকে পরিস্থিতি বুঝতে হবে। আন্দোলনে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য নিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি সরকার দেখছে।
উপাচার্য উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা আন্দোলনকারীদের দোষ দিচ্ছ, আবার তাদের ভয় পাচ্ছ কেন? আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেব। কিন্তু যদি আবার আন্দোলন হয় তখন তোমরা নিজেরাই প্রতিরোধ শক্তি হবে। আমরা হল খোলার দুই-একদিন আগে নোটিশ বা মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেব।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’এর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক এএ মামুন, মোহা. মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।