পবিত্র ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে। তবে কম্পিউটার চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার ছুটির সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সতর্ক ছিল না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন নিরাপত্তা কর্মীর ২০ জনই ২৩ জুলাই থেকে অনুনোমোদিত ছুটি কাটিয়েছেন। বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যকে (রুটিন দায়িত্ব) অবগত করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সে সময় বেশ দুর্বল ছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালেও একইভাবে নিরাপত্তাকর্মীদের অনুনোমোদিত ছুটি কাটানোর কারণে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। আর সে ঘটনাতেও চুরির ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এর আগেও ছুটির সময়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে দু’বারে প্রায় ১০০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে চুরি হয়েছে ৫০ টি কম্পিউটার এবং ২০১৮ সালে চুরি হয়েছে ৪৭টি কম্পিউটার।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, এর আগেও ছুটির সময়গুলোতেই চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। আমরা আগের চুরির ঘটনায় একটি মামলা করেছিলাম তবে আসামি শনাক্ত না হওয়ায় বিচার হয়নি।
নিরাপত্তাকর্মীদের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে দাপ্তরিক কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিরাপত্তাকর্মীরা অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে গত ১০ আগস্ট অনুপস্থিত থাকা ১৯ জন নিরাপত্তা কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. মো. শাহজাহান বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটি চেয়ে আবেদন করার পরেরদিনই ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় এবং দপ্তরসমূহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওইসময়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর পর কম্পিউটার চুরির ঘটনাটি বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।