বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হয়েছেটা কি? - দৈনিকশিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হয়েছেটা কি?

মাছুম বিল্লাহ |

স্কুল জীবনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মনে করতাম ফেরেশতা, ভিনগ্রহের কোনো মানুষ এবং সত্যিকার জ্ঞানের আধার। নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা ছিলেন দেখতাম বিদেশ থেকে আসছেন উচ্চশিক্ষা নিয়ে, পজিটিভলি তাদেরকে দেখে ভাবতাম নিশ্চয়ই তারা ভিন গ্রহের কোনো প্রাণী। কলেজের শিক্ষকদেরও অনেক উঁচুতে ভাবতাম। মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হলাম বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে। কলেজ শিক্ষকদের সম্পর্কে ধারণা ঠিকই ছিল তখনও। স্যাররা আসলেই শিক্ষকসুলভ ছিলেন, তাদের পড়ানোর মান দেখে তাদের সম্পর্কে  ধারণা পাল্টায়নি তখনও। একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানের এক প্রফেসর এক সেমিনারে বিএম কলেজে গিয়েছিলেন। তাঁর ভাষা, উপস্থাপনা, এক গ্লাস পানি পান করতে গিয়ে প্যারাবোলা, পদার্থ বিজ্ঞানের সাথে গণিতের সম্পর্ক ইত্যাদি যখন বুঝালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে ধারণা তখনও ঠিক ছিল।

ভর্তি হলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখনকার ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী স্যার। তাঁর ব্যক্তিত্ব, কথাবার্তা, ভাবভঙ্গি দেখে এবং তাঁর পান্ডিত্য সম্পর্কে জেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে ধারণা পাল্টানেরা সুযোগ হয়নি। কিন্তু বছরখানেক যেতে না যেতেই দেখলাম শিক্ষকদের নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে  অনেক শিক্ষক নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে হেঁটে, দৌড়ে মোটরসাইকেলে ছোটাছুটি করছেন। অনেকে ক্লাসে না পড়িয়ে রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত। প্রকাশ পেল যে, তাদের মধ্যে পার্টি আছে। এক পার্টিকে হঠিয়ে আর এক পার্টিকে জেতাতে হবে। তাই নিয়ে, সমমনাদের উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, আবেগ ও প্রচার। তারও বছর দুয়েক পরে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হবেন একজন, তিনি কোনো এক সেমিনারে বিদেশে গেলেন। সেই  সুযোগে তাঁর বিরোধী পার্টি থেকে আর একজন নীরব ক্যুর ম্যাধমে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদে বসলেন। আমরা তো অবাক। পরে যার প্রকৃতপক্ষেই চেয়ারম্যান হওয়ার কথা তিনি দেশে ফিরে এসে দেখলেন যে, তাঁর চেয়ার অন্য একজন দখল করেছেন। আমরা অনার্স পরীক্ষার্থীরা পড়ে গেলাম ফাঁদে। পরীক্ষার তারিখ কোনোভাবেই ঘোষণা করা হচ্ছে না দুই পার্টির ঠেলাঠেলিতে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে কেস গড়াল এবং বিদেশের সেমিনার থেকে আসা শিক্ষকই চেয়ারম্যান হলেন। সেই থেকে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে ধারণা পাল্টাতে শুরু করল। বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়া আর না হওয়ার মাঝে কি মাহাত্ম্য!

জিল্লুর রহমান সিদ্দিকি স্যার ভিসির দায়িত্ব শেষ করে ইংরেজি বিভাগে ফিরে এলেন। আমাদের পড়ানো শুরু করলেন শেক্সপিয়ার। আমরা তো অবাক! ভাইস-চ্যান্সেলররা ক্লাসও নেন? আবার দেখলাম এতবড় প্রফেসর, প্রাক্তন ভিসি অথচ তাঁর আগে ড. লেখা নেই। আমরা প্রথমদিকে বিষয়টি মেলাতে পারতাম না। পরে, ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছি  অলংকরণ সবার প্রয়োজন হয় না, সবাই নেনও না। এখন তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শত শত  পিএইচডি ডিগ্রিধারীতে ছেয়ে গেছে। কাট পেস্ট পিএইচডি, নকল পিএইচ ডি, কেনা পিএইচডি, প্রকৃত গবেষণা করে পিএইচডি ক’ জন করেছেন সে হিসাব মেলানো ভার। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানের  দিকে তাকালেই তো বুঝা যায়, এতশত পিএইচডির কতটা অবদান এখানে আছে! জাহাঙ্গীরনগরে পড়তে পড়তে এক নিকটাত্মীয়কে দেখলাম তাকে এক হলের প্রভোস্ট বানানোর প্রস্তাব এসেছে উপর থেকে। উনি রাজী হলেন না। আমার একটু খারাপই লাগলো। কারণ প্রভোস্ট হলে আলাদা একটি বাসা পাওয়া যায়, মালি দারোয়ান তো আছেই। আমি কারণ জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন, “দেখ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক আছেন যারা আজীবন একটি বা দুটো চ্যাপ্টারই পড়ান। এর বাইরে তারা যান না। তাদের পক্ষে প্রভোস্ট হওয়া, প্রো-ভিসি, ভিসি হওয়া সাজে বা মানায়? সবার জন্য নয়।’ উনি প্রভোস্টের পদ প্রত্যাখ্যানই করলেন।

গত দুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকদেও একটি লেখা দেখলাম যে, তাদের ক্লাসে এক চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসেন। কারণ জানার জন্য তারা শ’খানেক শিক্ষার্থীদের ওপর ছোটখাটে একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে জানা যায় যে, কিছু কিছু শিক্ষক ক্লাসে এসে তাদের নোট দেখে শুধু পড়ে যান, শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো ধরনের ইন্টারঅ্যাকশন বা প্রশ্নোত্তর কিংবা বুঝানোর অন্য কোনো পদ্ধতি তারা অবলম্বন করেন না। আবার কেউ কেউ বলেছেন, কিছু শিক্ষক তাদের পুরাতন চ্যাপ্টারের বাইরে একটুও যান না, সারাজীবনই নাকি ঐ বিষয়টুকু একইভাবে পড়িয়ে আসছেন। ইয়ং টিচার যারা আছেন তারা ডিজিটাল ক্লাসের নামে এক কিংবা দুই ক্লাসেই পুরো সিলেবাস পাওয়ার পয়েন্টে দেখিয়ে তোতাপাখির মতো পড়ে পড়ে ক্লাস শেষ কওে দেন। এই মূল কারণগুলোর জন্য শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসতে কোনো ধরনের আগ্রহ দেখান না, উৎসাহ পান না। এছাড়াও কিছু কারণ তারা উল্লেখ করেছেন। তবে, এগুলো ছিল মূল কারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে পাঁচ বছরের জীবনে ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকাণ্ডই দেখেছি। কিছু শিক্ষকদের প্রকৃত রূপ বুঝা মুশকিল। আবার এমন শিক্ষকও দেখেছি অন্য কাজে এসে ক্লাসে কোন পড়াটায় আমরা পিছিয়ে আছি সেটি নিয়ে হল অফিসে এমনকি আমাদের কারও রুমে এসেও আলোচনা করেছেন।
  
একজন প্রভোস্ট বা ভিসির পড়াশোনা করা বা গবেষণা করার সময় কই? সারাক্ষণই তাদের ব্যস্ত থাকতে হয় বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন, সরকারি ছাত্রসংগঠনের সাথে বোঝাপড়া, মিটিং, তাদের সামলানো এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে টেন্ডারদাতাদের সাথে বোঝাপড়া ইত্যাদি নিয়ে। এগুলো অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার অংশ। সবাই না হলেও কেউ না কেউ এ কাজগুলো করবেন। আবার রোটেশন অনুযায়ী অনেককেই এ কাজগুলো করতে হয়। কিন্তু তাই বলে বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সম্পর্কে যে সব গল্প শুনছি ও মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে এগুলো দেখে মনে প্রশ্ন জাগে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হয়েছেটা কি?’ একজন ভিসি তো মূলত একজন শিক্ষক। এ বছরের মাঝামাঝি রংপুর গিয়েছিলাম অফিসিয়াল কাজে। এক  বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষের রুমে যখন দেখা করতে গিয়েছি দেখলাম, তিনি এক পিওনের সাথে রেগে গেছেন। কলেজের কিছু জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন উক্ত পিওন। তিনি রিকশাভাড়া বিল করেছেন সম্ভবত একটু সন্দেহজনক। ঐ বিষয়টি নিয়ে পিওনের সাথে লেগে গেছেন অধ্যক্ষ মহোদয়। ভাবলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একজন অধ্যক্ষকে যদি এক পিওনের রিকশাভাড়া নিয়ে দেন-দরবার করতে হয়, কথা বলতে হয় তখন মূল লেখাপড়া যে সিঁকেয় উঠবে তাতে বিচিত্র হওয়ার আর কি আছে?

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকতা জীবনে আমার এক সহকর্মী ছিলেন, চরম বামপন্থি। তাঁর কাছে শুনলাম তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি বাস্তব ঘটনা। তাঁরা যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তো পরীক্ষার তারিখ পেছানোর জন্য শিক্ষার্থীরা মিছিল করে ভিসির বাসভবনে গেছেন। ভিসি বের হয়ে বললেন, কি হয়েছে তোমাদের? সবাই সমস্বরে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘স্যার পরীক্ষা পেছাতে হবে।’ ভিসি খানিক্ষকণ চুপ থেকে উত্তর দিলেন, “The date of death may change, but the date of exam will never. Go back to your dormitories and concentrate on readin.” শিক্ষার্থীরা ভিসির সেই ব্যক্তিত্বের কাছে মাথা নত করে সবাই যার যার হলে ফিরে গিয়েছিলেন এবং পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছিলেন। পরীক্ষাও যথাসময়ই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। 
পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেই শিক্ষার্থীরা পেছানোর জন্য আন্দোলন শুরু করে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি স্বাভাবিক চাহিদা। তারা মনে করে, পরীক্ষা পেছালেই বোধ হয় ফল ভালো হবে। এদিকে খেয়াল নেই যে, বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া যাবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল। কিন্তু না, পরীক্ষা পেছলেই যেন আনন্দ যেন অনেক ভালো ফল করা যাবে। পরীক্ষা পেছানোর বর্তমান আন্দোলনে  শিক্ষকরা দেখেন কত শতাংশ শিক্ষার্থী সরকারি ছাত্রসংগঠনের, সেই অনুযায়ী তারা রায় দেন। সংখ্যায় বেশি সাধারণ ছাত্র হলে অন্য সুরে কথা বলেন। আন্দোলনকারীরা বামপন্থি সংগঠনের হলে অন্যভাবে কথা বলেন। সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন হলে যত অন্যায় আবদারই হোক না কেন তাদের পক্ষে ভিসিদের রায় দিতে আর সময় নিতে হয় না। তাই শিক্ষার্থীরাও ভিসিদের সাথে সেরকম আচরণ করেন। কিন্তু এটি তো হওয়ার কথা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কীভাবে একজন ভিসি নারী শিক্ষার্থীর সাথে নোংরা ভাষায় কথা বলেন! কীভাবে একজন ভিসি ছাত্রনেতাদের সাথে অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে মিটিং করেন?

ভিসিদের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে আন্দোলন করলেও তারা পদ আঁকড়ে থাকতে চান। আন্দোলনের মুখে তাঁরা কোনোভাবেই পদ ছাড়তে চান না। ভিসিগিরিতে এত মজা কিসে বুঝতে কষ্ট হয়। আবার সরকারি ছাত্রসংগঠন যে ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে সেই ভিসি দেখা যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করবেন। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতি মানুষের সেই পূর্বের সম্মানবোধ আর যেন থাকতে চাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের সাথে সমস্যা বেঁধেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির। একজন ভিসির বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন শিক্ষক। তাঁর সহকর্মীরা তাকে চাচ্ছেন না, শিক্ষার্থীরা তাকে চাচ্ছেন না। হতে পারে আদর্শিক কারণে, হতে পারে কিছুটা রাজনৈতিক কারণে কিংবা আবেগে। যে কারণেই হোক না কেন, এই অবস্থায় একজন শিক্ষকের ঐ পদে থাকার মানে বা যৌক্তিকতা কী? ভিসি পজিশনে কিসের এত মধু? একজন ভিসির আসল পরিচয়, আসল সাফল্য তাঁর শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা অর্জন ভালো পড়ানো, উন্নত গবেষণা। এগুলো এখন থাকছে না কেন?

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা শিক্ষার্থীদের বিবেচনা করবেন জুনিয়র স্কলার হিসেবে। আর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মূল্যায়ন করবেন সিনিয়র স্কলার হিসেবে। ওই জুনিয়র ও সিনিয়র স্কলারদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে বিশ্ববিদ্যালয় হবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার। আর জ্ঞান সৃষ্টির প্রধান শর্ত হচ্ছে প্রশ্ন উত্থাপন। প্রশ্ন উত্থাপন ছাড়া কোনো জ্ঞান সৃষ্টি হতে পারে না। আর সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে শেখায়। ইতিহাসের পাতায় পাতায় স্বর্ণাক্ষরে তা লেখা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আর শিক্ষকের তর্ক-বিতর্কে, নতুন নতুন প্রশ্ন উত্থাপনে কত শত নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হয়েছে, সেই ইতিহাস কে না জানে! অনেক সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারার কারণে দু’ জনের দুটি পথ দুদিকে চলে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে নতুন মত ও পথ।” জনাব সেকেন্দার যথার্থই বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন মত ও ভিন্ন পথ থাকবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞানের আধার সেটিকে তো কোনোভাবেই অবজ্ঞা করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক একজন ভিসি। তার আচরণে তো কোনোভাবেই প্রকাশ পাওয়ার কথা নয় যে, তিনি একটি পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী এবং শিক্ষকতার চেয়ে তিনি সেই পরিচয়ই যেন দিতে বেশি আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমারা যদি এ ধরনের মনোভাব দূর করতে না পারি তাহলে ছাত্রসংগঠনের সাথে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ভিসিদের মিটিং চলতেই থাকবে আর বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে আমরা বলব আমাদের ওয়েবসাইটের সমস্যার কারণে আমারা বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ছি।

লেখক : ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037260055541992