ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। ফলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় এক প্রকার অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের বৈধ বলে স্বীকৃতি দিলেও চার সিটের একটি কক্ষে ১২-১৩ জন অবস্থান করার কারণে মেঝেতে ঘুমাতে হয় আরও এক বছর তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ছাত্রনেতাদের মনোতুষ্টির ভিত্তিতে আসন নিশ্চিত করা হয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের হলে থাকার জন্য অনেকটা ছাত্রনেতাদের ‘দাসের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। তৃতীয় বর্ষে এসেও একটি সিটের আশায় চিন্তিত থাকে দেশসেরা মেধাবীরা। ছাত্রনেতারা এ সময় সিট দেয়ার ক্ষেত্রে এলাকাপ্রীতি ও স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেন, যে কারণে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা ও প্রতারণার শিকার হয়।
একটি কক্ষে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে দুটি বছর অতিবাহিত করেও যখন তৃতীয় বর্ষে এসে সিট পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হয়, তখন লেখাপড়ার প্রতি অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। বর্তমানে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিটের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র: যুগান্তর