বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় কতোটা বাণিজ্য, হয়রানি আর তারুণ্যের অপচয় হয়, তা ভুক্তভুগি মাত্রই জানে! অথচ এ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি আমাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগণ একটু সদয় হোন। শুধু ইন্টার পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে ১০০ নম্বরের (৩০ নম্বর নৈর্ব্যক্তিক ও ৭০ নম্বর লিখিত) এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার এক সপ্তাহ পরে ১২০ নম্বরের (৪০ নম্বর নৈর্ব্যক্তিক ও ৮০ নম্বর লিখিত) পরীক্ষা গ্রহণ করেন। ২২০ নম্বরের পরীক্ষা এবং এসএসসি ফলাফল ৩০ ও এইচএসসি ফলাফলকে ৫০ ধরে মোট ৩০০ নম্বরে সমন্বয় করে চূড়ান্ত মেধা তালিকা তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম অনুসারে মেডিক্যাল, প্রকৌশল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু নির্বাচিত করা যাবে। ২২০ নম্বরের পরীক্ষার নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রশ্ন হবে বিষয়ভিত্তিক। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে বিষয়ভিত্তিক কাট মার্ক ধরে পছন্দের প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ে ভর্তি করতে হবে। উলেখ্য যে, দুটি পরীক্ষাই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ব্যবস্থাপনায় এবং পরের পরীক্ষাটি হবে অবশ্যই পরিবর্তিত অঞ্চল/বিভাগে। আর একটি কথা, কোচিং করলেও যতজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে, না করলেও ততজন শিক্ষার্থীই সুযোগ পাবে। বরং কোচিং নামের ক্যান্সারটির যতোদিন অস্তিত্ব থাকবে ততোদিন গুণগত শিক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষার পর এই চার মাস শিক্ষার্থীদের অবকাশ দিন। আর কিছু না হোক গরিবের অর্থ অপচয়, কোচিং বাণিজ্য বন্ধের পাশাপাশি অন্তত এই সময়ে দেশে আর ধান কাটা শ্রমিকের ঘাটতি হবে না! কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোচিং সেন্টারের দানবীয় খায়েশ নয়; শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, মেধা ও ইচ্ছাই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নির্ণায়ক!
জাকারিয়া স্বাধীন: পলাশ, নরসিংদী।