রাজধানীর চকবাজার ট্রাজেডিতে নিহত কাজী এনামুল হক অভির বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নিহত অভির বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামে। সে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে সদ্য বিবিএ পাস করেছে। ছোট বেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়া। বাবা-মাকে সে প্রায়ই বলত দেখ তোমাদের ছেলে (এনামুল হক) একদিন বড় অফিসার পদে চাকরি করবে। সব স্বপ্ন বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ভাতিজা জুলহাস কাজীর সাথে শেষ দেখা করে দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য চকবাজার যেয়ে নিখোঁজ হন এনামুল হক। পরের দিন সকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে রাজিব কাজী এনামুল হক অভির লাশ সনাক্ত করেন।
রাজিব কাজী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ওই দিন চকবাজার আল-মদিনা মেডিকেল ও ডেন্টাল অগ্নিকাণ্ডে এনামুল হকের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে তার বৃদ্ধ বাবা মোতালেব হোসেন কাজী ও মাতা আখিমন বেগম ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। বিলাপ করে বলছেন আমার ছেলের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নে মো. মজিবর রহমান হাওলাদার (৫০) নামে আরো একজন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার পিতার নাম মো. মোসলেম হাওলাদার। তার গ্রামের বাড়ি সন্তোষপুর গ্রামে। সে ঢাকা চকবাজার ওই ভবনেই প্লাস্টিক কারখানায় চাকরি করতো বলে তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তার ৩ ছেলে, ২ মেয়ে ও স্ত্রী গ্রামে রেখে গেছেন। নিহত মজিবর রহমানের বড় ভাইয়ের ছেলে আসলাম ঢাকা মেডিকেলের মর্গে চাচার (মজিবর রহমান) লাশ সনাক্ত করেছেন।