চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করতে না পেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাথী আক্তার (১৭) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীসহ তার মা-বোনকে কুপিয়ে জখম করেছেন এক যুবক ও তার সঙ্গীরা। গত রোববার রাতে উপজেলার ১৪ নম্বর ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম পোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা গত তিন দিন ধরে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার বিকেলে সাথীর বাবা মুকবুল আহাম্মদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম পোঁয়া গ্রামের মুকবুল আহাম্মেদের মেয়ে সাথী আক্তারকে একই গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে ওয়াসিম বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করতেন। ঘটনাটি সাথী তার পরিবারকে জানালেও ভয়ে তারা কাউকে কিছু বলেননি।
সাথীর মা সাহিদা বেগম জানান, সাথীকে বিয়ে করার জন্য ওয়াসিম বেশ কয়েকবার তাদেরকে চাপ দেন। বিষয়টি মাদরাসার অধ্যক্ষকেও জানান তিনি। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে অন্য এক জায়গা থেকে সাথীর বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু তিনি এই মুহূর্তে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে তাদের বিদায় করেন। এদিকে সাথীর বিয়ের প্রস্তাব আসার খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওয়াসিম। এরই জেরে তিনি ও তার সঙ্গীরা গত রোববার রাতে সাথীর ঘরের জানালা ভেঙে তাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন।
সাথীর মা আরও জানান, মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন দুর্বত্তরা। এমনকি সাথীর তিন বছর বয়সী বোনকেও কুপিয়ে আহত করেন তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই তাদেরকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘শিশুসহ তিনজনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় নিয়ে আসে লোকজন। মুমূর্ষু অবস্থা থেকে বর্তমানে তারা কিছুটা উন্নতির দিকে।’
সরেজমিনে হাসাপাতালে গিয়ে দেখা যায়, স্থান সংকটের কারণে আহত মা মেয়েসহ তিনজনই একই বেডে অবস্থান করছেন। তারা এখনো ওই ঘটনায় আতঙ্কিত।
এদিকে খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদশক (এসআই) সুমন্ত ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আহত ও তার পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার জন্য বলে এসেছি।’