চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে আবু নেওয়াজ শরীফ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার সাহারবিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই এলাকার মাস্টার আবু জাফরের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, গত ১২ নভেম্বর চট্টেশ্বরী রোডের চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তারকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ ঘটনায় নুরুল কাদের নামে একজনসহ অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে ইয়াসমিনের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন খোকন বাদী হয়ে মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আবু নেওয়াজ শরীফকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আবু নেওয়াজ শরীফ জানান, নুরুল কাদের তার বন্ধু। ইয়াসমিনের সঙ্গে একই স্কুলে পড়াশোনা করেন তারা। ইয়াসমিনের সঙ্গে নুরুল কাদেরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিন বছর আগে নুরুল কাদের বিদেশে চলে যান।
বিদেশ থেকে ফিরে ইয়াসমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ইয়াসমিনের পরিবার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ইয়াসমিনও নুরুল কাদেরের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নুরুল কাদের। বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে ইয়াসমিনের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করেন নুরুল কাদের।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়াসমিনকে ছুরিকাঘাতের জন্য মেহেদী নামে এক যুবককে ঠিক করে দেন শরীফ। গত ১২ নভেম্বর কৌশলে ইয়াসমিনকে চট্টেশ্বরী রোডে নিয়ে আসেন নুরুল কাদের। ওখানে ওত পেতে ছিলেন নুরুল কাদেরের বন্ধু শরীফ, তারেক, মেহেদী ও তার পরিচিত আরেক যুবক।
নুরুল কাদের ইয়াসমিনকে নিয়ে চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের সামনে এলে মেহেদী ও তার সঙ্গে থাকা যুবক ইয়াসমিনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ইয়াসমিনের চিৎকার-চেঁচামেচিতে লোকজন এগিয়ে এলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। পরদিন বিদেশে চলে যান নুরুল কাদের। গ্রামের বাড়িতে চলে যান তারেক ও শরীফ। সেখান থেকে শরীফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।