বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পাসে টানা আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কারসহ ৮ দফা দাবিতে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি মেনে না নিলে ১৪ অক্টোবরের ভর্তি পরীক্ষা আটকে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে সন্ধ্যায় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম সাক্ষাৎ করে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা এতে সন্তুষ্ট হননি। তারা বলেন, মামলার অভিযোগপত্র না দেওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে- খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ছাত্রত্ব আজীবনের জন্য বাতিল করা, দায়ের করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে নিষ্পত্তি করা, আবাসিক হলগুলোতে র্যাগের নামে ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে জড়িত সবার ছাত্রত্ব বাতিল করা, আগের ঘটনাগুলোতে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা ও ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ায় শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, মামলা চলাকালীন সব খরচ ও আবরারের পরিবারের সব ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনের বহন এবং ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা।