নতুন বই পেতে হলে দিতে হবে বকেয়া বেতন। এমন সরল শর্তে বিঘ্নিত বছরের প্রথম দিনের বই উৎসব। ঘটনাটি ছাতকের চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। সেখানে কিছু শিক্ষার্থী বই পেলেও অধিকাংশ শিশুর কপালে জোটেনি নতুন বইয়ের ঘ্রান। বই উৎসবে সামিল হতে বিদ্যালয়ে গিয়েও তাদের ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ ছাতক পৌর শহরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে বুধবার সকাল দশটায় সরকারি বিনামূল্যের বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অনেকে। কিন্তু উৎসবের উদ্বোধন শেষে সংসদ সদস্যসহ অতিথিরা অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় বই বিতরণ কর্মসূচি। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জানানো হয় বিদ্যালয়ের বকেয়া বেতন যারা পরিশোধ করবে শুধুমাত্র তাদেরকেই বই দেওয়া হবে। এছাড়া কাউকে বই দেয়া হবে না। বছরের প্রথম দিন অনেকটা অপমানিত হয়ে ফিরে যায় বই বঞ্চিত শিশুরা।
সরকারি নির্দেশনা অমান্যের আলোচিত এ ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে বিলম্বে। অভিযোগ শুনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন রায় বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে বই বিতরণ বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ঘটনার ব্যাপারে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।