উপজেলার বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীরা গত মার্চের বেতন ও বৈশাখী ভাতা তুলতে পারেননি।
জানা গেছে, মাদরাসার নিয়মিত কমিটি গঠনের জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘গোপন ব্যালটে’ অভিভাবক সদস্য ফজলার রহমান প্রামানিক মাদরাসার সভাপতি হন। চূড়ান্ত কমিটি অনুমোদনের জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে বিগত কমিটির মেয়াদ গত ২৭ মার্চ শেষ হয়ে যায়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন হয়ে না আসায় নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর গত মার্চের বেতন ও বৈশাখী ভাতা স্বাক্ষরের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করলে তিনি সুপারের বিরুদ্ধে মামলা থাকার অজুহাতে বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ও বৈশাখী ভাতা উঠাতে পারেননি।
ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আব্দুস সালাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। বেতন বন্ধ হওয়াতে সংসারের খরচসহ বগুড়াতে আমার ছেলের পড়াশুনার খরচ দিতে পারছি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, মামলা প্রতিষ্ঠান বা কমিটির বিরুদ্ধে নয় বিধায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
মামলার বাদী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব সোনার বলেন, সুপার নিয়োগে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এখনও কোনো আদেশ হয়নি।
স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, যতদূর শুনেছি মামলায় নিষেধাজ্ঞা নেই। বিধায় জেলা শিক্ষা অফিসারের বেতন ভাতায় স্বাক্ষর না করার যৌক্তিক কারণ দেখছি না।
মাদরাসার সুপার রেজাউল ইসলাম বলেন, বেতন বিলে স্বাক্ষর করা না করা জেলা শিক্ষা অফিসারের এখতিয়ার। এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। জেলা শিক্ষা অফিসার ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেহেতু বিষয়টির আইনগত দিক পর্যালোচনা করে বেতন বিলে স্বাক্ষর করব।