বেতন বৈষম্য নিরসন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ, অষ্টম পে-স্কেল সংশোধনসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি চাকরিজীবীরা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরীজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায়ে ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের দাবিগুলো হল, বেতন বৈষম্য নিরসন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ এবং গ্রেড সংখ্যা কমানো, আইএলও অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ, এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন, সকল পদে পদোন্নতি পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান (ব্লগ পোস্ট নিয়মিতকরণ করা), টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখা, সচিবালয়ের মত পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করা, সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করা, নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশন, শতভাগ পেনশন চালুসহ পেনশন গ্র্যাচুইটি হার এক টাকা সমান পাঁচশত টাকা করা, কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূত করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১১ থেকে ২০ গ্রেডে এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। এসব দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে আমরা গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। ১৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গঠিত জাতীয় বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যদের স্মারকলিপি দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ প্রায় একশ জন সংসদ সদস্যকে স্মারকলিপি দিয়েছি। এরপর আবারও সংবাদ সম্মেলন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ৭ মার্চ উত্থাপিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. মরিাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিক মো. মাহমুদুল হাসানসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে আসা নেতারা ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।