বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে তারই বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। উপাচার্যের ক্যাম্পাসে লাগাতার অনুপস্থিতিসহ অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা রোধে ২১ দফা দাবিতে এই স্মারকলিপি দিয়েছে ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ নামে শিক্ষকদের একটি সংগঠন।
উপাচার্যকে না পেয়ে তার কার্যালয়ের দরজায় এই স্মারকলিপি সাঁটিয়ে দিয়েছেন তারা। অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মতিউর রহমান জানান, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিবের কাছে তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি। পুনরায় ফোন করলে পিএস জানিয়েছেন উপাচার্য কবে ক্যাম্পাসে আসবেন তা তিনি জানেন না। উপায়ান্তর না পেয়ে তারা সবাই মিলে উপাচার্যের প্রবেশ দরজা বরাবর ২১ দফা দাবি টাঙিয়ে দিয়েছেন।
দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগশর্ত অনুযায়ী উপাচার্যকে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে হবে। ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে বি-ইউনিটের অভিযুক্ত ভর্তি জালিয়াতির প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা এবং অপরাধী ব্যক্তির শাস্তি দেয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, নিয়োগ বোর্ড, অর্থ কমিটির সভাসহ সর্বপ্রকার সভা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান করার দাবিও আছে।
শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে, অনুষদে উপস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৯ অনুযায়ী যোগ্য এবং একমাত্র যোগ্য শিক্ষককে ডিন ও বিভাগে উপস্থিত যোগ্য শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৯ ব্যত্যয় করে যে সব বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে সে সব ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র সংশোধন করা এবং আইন অনুযায়ী উক্ত পদে পুনঃনিয়োগ দেয়া।
এছাড়া অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং আইন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লিখিত পরীক্ষা নিয়োগ বোর্ডের সব সদস্যের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে চান শিক্ষকরা।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মতিউর রহমান জানান, উপাচার্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সীমাহীন অন্যায়-অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন। তার স্বেচ্ছাচারিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সমস্ত শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।