রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ক্যাম্পাসে উপস্থিতি-অনুপস্থিতির বিবরণ তুলে ধরে এবার একটি বোর্ড বসিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে বোর্ডটি স্থাপন করা হয়েছে।
বোর্ডটির ওপরে লেখা হয়েছে, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর হাজিরা খাতা।’এতে কয়েকটি কলামে উপাচার্যের যোগদানের পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উপস্থিতি-অনুপস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
বোর্ডে দেখানো হয়েছে, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুন যোগ দেন। এরপর থেকে মোট দিনসংখ্যা ছিল ৯৭৯। এর মধ্যে উপাচার্য ২২৭ দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৫২ দিন। আজকের (গতকাল) অবস্থান শিরোনামের একটি কলামে তাঁকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে ‘ছুটি’ দেখানো হয়েছে।
এর আগে ২১ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপির একটি ডিজিটাল ব্যানার প্রিন্ট করে উপাচার্যের কক্ষের দরজায় সেঁটে দেয়া হয়। বোর্ডটি স্থাপনের সময় ১৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক মতিউর রহমান, সদস্যসচিব খায়রুল কবীর, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী মাজহারুল আনোয়ার, তুহিন ওয়াদুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন : বেরোবির উপাচার্য : ৯৭৭ দিনের চাকরিতে অনুপস্থিতই ৭৫০ দিন
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক মতিউর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবার বোর্ড স্থাপন করা হলো। আমরা চাই, উপাচার্য নিয়মিত উপস্থিত থেকে ক্যাম্পাস পরিচালনা করুন।’
ক্যাম্পাসে উপাচার্যের উপস্থিতি নিশ্চিতসহ নানা দাবিতে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ ৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে স্মারকলিপি দেয়। এরপরও ক্যাম্পাসে না আসায় স্মারকলিপির ২১ দফা দাবিসংবলিত একটি ডিজিটাল ব্যানার ১১ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কক্ষের দরজায় সেঁটে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : রূপাচার্য!
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।