বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে ২০১৩-২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অধিগ্রহণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষককে টাইমস্কেল দেয়া হয়েছিল। তবে, জাতীয়করণের আগের চাকরিকাল গণনা করে শিক্ষকদের টাইমেস্কেল দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি হিসেব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো একচিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে অধিগ্রহণকৃত স্কুলগুলোর শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাবদ দেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকদের দায়ের করা একটি রিটমামলার প্রেক্ষিতে সে আদেশ স্থগিত করেছে আদালত।
জানা গেছে, বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে ২০১৩-২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অধিগ্রহণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষককে টাইমস্কেল দেয়ার বিষয়টি হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আসে। এসব শিক্ষকের টাইমস্কেল গণনার বিষয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত চায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। তখন বিষয়টি বিধিবহির্ভুত বলে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সাথে বেসরকারি আমলে চাকরিকাল গণনা করে অধিগ্রহণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল বাবদ নেয়া টাকা ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনসুর আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সব সহকারী শিক্ষক ও বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষককে আগেই টাইমস্কেল দেয়া হয়েছিল। যে গেজেট অনুসারে আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে তার আলোকেই শিক্ষকরা টাইমস্কেল পেয়েছেন। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। টাকা ফেরতের নির্দেশ দেয়া হলেও আদালতের আদেশে তা স্থাগিত করা হয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে টাইমস্কেল দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। আগেই পর্যালোচনা করে শিক্ষকদের টাইমস্কেল দেয়া উচিত ছিল। তা না করায় শিক্ষকরা বিপদে পড়ছেন।