সাবেক একজন শিক্ষাসচিবের নাম ভাঙ্গানোর অভিযোগ উঠেছে কতিপয় বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ঘুপচি ঘরে প্রতিষ্ঠিত কতিপয় বেসরকারি টিটিসির অধ্যক্ষ বুধবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানোর সময় তারা দাবি করেন তাদের সংগঠনের সাথে একজন সাবেক শিক্ষাসচিব রয়েছেন এবং সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত থাকবেন। ব্যানারেও লেখা হয় সাবেক ওই শিক্ষাসচিবের নাম। কিন্তু বাস্তবে ওই শিক্ষাসচিব উপস্থিত ছিলেন না। মান নিয়ে প্রশ্ন থাকা ও নিজেদের মতো করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে হঠাৎ তারা এমপিওভুক্তির দাবি করছেন। এমনকি সরকারকে অস্থিতিশীল করতে আগামী ২৩ জুলাই সমাবেশ করাও ঘোষণা দিয়েছেন বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নাম প্রকাশে অনিচছুক বেসরকারি টিটিসির কয়েকজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, আমাদের অধ্যক্ষরা ভুল বুঝিয়ে আমাদেরকে রোজার মধ্যে এখানে নিয়ে এসেছেন। আমাদেরকে বলা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে সাব্কে একজন স্বনামখ্যাত শিক্ষাসচিব থাকবেন। ব্যানারেও নাম লেখা রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তিনি আসেননি। এছাড়া নিম্নমানের কতিপয় বেসরকারি টিটিসিকে মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ করার উদ্যোগের খবর পেয়েছি।
বুধবার (৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনের সংবাদ সম্মেলনে টিটিসির অধ্যক্ষরা বলেন, টিটিসিতে কর্মরত প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বছরের পর বছর নামমাত্র বেতনে ও বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকরা শুধু যে বেতন ভাতা পাচ্ছে না, তা নয়। তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে যে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় তা হচ্ছে, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোতে কর্মরত সকল শিক্ষক -কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা, কলেজগুলোয় কর্মরত সকল শিক্ষককে দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া, প্রতিটি কলেজে একটি করে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা ও তথ্য-প্রযুক্তির সকল সুবিধা নিশ্চিত করা, কলেজের নামে একখণ্ড জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়া এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
এ সময় তিনি দাবি আদায় করতে শিক্ষকদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিও ঘোষণা করনে।
কর্মসূচি গুলো হচ্ছে - আগামী ২০শে মে পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজে মতবিনিময় সভা, ঢাকা মহানগরীসহ ৮টি বিভাগে জুনের ১২ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিভাগীয় সম্মেলন, জুলাইয়ের ৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, জুলাই মাসের ৭ তারিখ আন্দোলনের অগ্রগতি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠক এবং জুলাইয়ের ২০ তারিখ শহীদ মিনারে শিক্ষক সমাবেশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী টির্চাস ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিলা বার্ণাডেট গমেজ, সহ-সভাপতি প্রফেসর ফাতেমা খাতুন , অধ্যাপক রমজান আলী, অধ্যক্ষ আল-মুজাহিদ ফকির, অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ, সহ-সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আরজু নাসরিন পনি ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল হোসেন ,দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ মো.রফিকুল ইসলাম সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।