বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা কাগজপত্র জমা দেওয়ার তিন-চার বছর পরে তাঁদের অবসরভাতা তুলতে পারেন! যাঁদের কোনো এলপিআর নেই, যা পাবেন একবারই পাবেন। এ অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ওপর গলগ্রহ হয়ে থাকতে হয়। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, আজকে যাঁরা অবসরভাতা তোলার ফাঁদে পড়েছেন, তাঁরাই একসময় তিন মাস পর পর চার মাসের মাঝামাঝি গিয়ে তাঁদের অনুদান পেতেন। একবার চিন্তা করে দেখুন—ঈদ, পূজা, বড়োদিন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান-উত্সবে তাঁরা কতোটা মর্যাদাশূন্য অবস্থায় থাকেন। অবসরপ্রাপ্তদের ২০১৬-২০১৭ সালের কাজ চলছে। ফান্ডে টাকা নেই ইত্যাদি কত কথা। এখন কোথায় যাব? শুনি হজব্রত পালনে কিছু টাকা দেওয়া হয়। হজের সাধ্য-সামর্থ্য আর অর্থনৈতিক সুযোগ কি সবার থাকে? কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখেছিলাম, দুদক ঢুকেছেন অবসরভাতা কল্যাণ ট্রাস্টের অফিসে। খুব আশায় বুক বেঁধেছিলাম। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের করজোর আবেদন—দয়া করে আমাদের অবসরভাতার টাকা তোলার একটা জরুরি ব্যবস্থা নিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক