রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা মর্ডান কলেজ ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার এক যুগ পাড় হয়ে গেলেও বোর্ড থেকে একাডেমিক স্বীকৃতি নেয়নি কলেজটি। কলেজেটির পাঠদানের মেয়াদও নেই ১০ বছর ধরে। পরিচালনা কমিটি ছাড়াই গত ৫ বছর ধরে চলছে ঢাকা মর্ডান কলেজ। অধ্যক্ষ হিসেবে আছেন সরকারি কলেজের একজন প্রাক্তন ষাটোর্ধ শিক্ষক। এছাড়া ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় কলেজের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ।
এ প্রেক্ষিতে ঢাকা মর্ডান কলেজের অধ্যক্ষ তুহিন আফরোজা আলমকে শোকজ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা বোর্ডের কলেজে পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিসটি পাঠানো হয়েছে অধ্যক্ষকে।
শোকজ নোটিসে বলা হয়, ঢাকা মর্ডান কলেজেটি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হলেও একাডেমিক স্বীকৃতি নেয়নি। পাঠদানের মেয়াদ ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে উত্তীর্ণ হলেও পাঠদান নবায়ন করেনি। এদিকে কলেজের পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ১৮ এপ্রিল। আজ পর্যন্ত কোন কমিটি ছাড়াই কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে।
এ পেক্ষিতে বোর্ডের বিধান না মানায় ‘কলেজের পাঠদানের অনুমতি কেন বাতিল করা হবেনা’ তার ব্যাখ্যা ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে কলেজ পরিদর্শক বরাবর লিখিত ভাবে পেশ করতে বলা হয়েছে ঢাকা মর্ডান কলেজের অধ্যক্ষকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মর্ডান কলেজের শিক্ষক নিগার সুলতানা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, এসব তথ্য ভুল। কলেজের একাডেমিক স্বীকৃতি রয়েছে। কমিটিও রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু এখন বলতে পারছিনা।
তবে জানতে চাইলে কলেজেটির অধ্যক্ষ তুহিন আফরোজা আলম এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।