পটুয়াখালীর বাউফল সরকারি কলেজ ও বাউফল মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রে এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। বিজ্ঞান বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ ৪৩০ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। এতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভেতরে ক্ষোভ থাকলেও ব্যবহারিকে কম নম্বর পাওয়ার শঙ্কায় প্রতিবাদ করছেন না কেউ।
এর আগে ফরম পূরণে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে। প্রবেশপত্র বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা হারে নেয়া হয় বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ওই ভেন্যু কেন্দ্রে পৌর সদরের বাউফল সরকারি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও কালাইয়া বন্দরের ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মোট ৪৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষায়। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে বিষয় প্রতি ৫০০ টাকা হারে ৪ বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। সে হিসেবে মোট ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে। অগ্রিম টাকা হাতে নিয়ে শিক্ষকরা ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ফরম পূরণ, প্রবশপত্র ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফিসহ প্রত্যেককে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। এবার ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। অস্বচ্ছল পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ ধার-দেনা করে টাকা দিয়েছে। ব্যবহারিকে নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।’
এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের সচিব ও বাউফল সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।