নাটোরের বড়াইগ্রামে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে লিপি খাতুন (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী। লিপি উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কুমরুল উত্তরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর মেয়ে এবং বনপাড়া বেগম রোকেয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বলেন, বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুমরুল উত্তরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর মেয়ে লিপি খাতুনের সাথে একই ইউনিয়নের আহম্মেদপুর গ্রামের আবুল কাশের ছেলে ইলেকট্রিশিয়ান রিমন আলীর (১৮) বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। পরে গ্রাম পুলিশ মাধ্যম আবুল কাশেম ও রিমন আলীকে ডেকে এনে এ বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিলে তারা মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।
ইউএনও আরো বলেন, বাল্যবিয়ে সমাজের একটি অভিশাপ, এর ফলে একটি মেয়ে তথা একটি পরিবার ও একটি সমাজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই কঠোর হস্তে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হবে। তিনি উপজেলার যেকোন প্রান্তে বাল্যবিয়ে খবর থাকলে মোবাইল মাধ্যম জানানোর আহ্বান জানান।