বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। সম্প্রতি এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত হয় কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সাধারণ, প্রকৌশল—এই চার শাখায় আলাদা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, সভায় আরো জানানো হয়, এ পরীক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী শাখা পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। এটি একটি সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমি এটির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট আগের মতোই আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়, যা তাদের নিজস্ব বিষয়।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশজুড়ে বিস্তৃত। একসময় সারা দেশের সব কলেজ পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কোনো দেয়ালঘেরা বাগান নয়। এর বিস্তৃতি দিগন্ত মাঠজোড়া। এটা মুক্ত বুদ্ধিচর্চা ও সৃজনশীল উদ্ভাবনের লালনক্ষেত্র। সমন্বিত বা গুচ্ছ যে পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা হোক না কেন, পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অনুযায়ী ভর্তীচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবে।
যেমনটা হয়ে থাকে মেডিক্যালে এমবিবিএস ভর্তির ক্ষেত্রে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় নির্বাচনের আগে একাধিক বিষয় পছন্দ করা যায় এবং মেধাক্রম অনুসারে বিষয় বণ্টন করা হয়। বিসিএস পরীক্ষায়ও একইভাবে ক্যাডার বণ্টন করা হয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।
লেখক : মো. জিল্লুর রহমান, সতীশ সরকার রোড, গেণ্ডারিয়া ও ঢাকা।